Dengue and KMC

মুখ্যমন্ত্রীর বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুরের দু’টি ওয়ার্ড-সহ দক্ষিণ কলকাতায় ডেঙ্গি পরিস্থিতিতে কড়া নজর পুরসভার

ডেঙ্গি সংক্রমণের প্রমাণ মিলেছে দক্ষিণ কলকাতা এলাকার সাতটি ওয়ার্ডে। তার মধ্যে আবার দু’টি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। একটি কলকাতা পুরসভার ৭০ নম্বর ওয়ার্ড অন্যটি ৭৭ নম্বর ওয়ার্ড। সেখানে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলেই দাবি কলকাতা পুরসভার।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০২৫ ১৩:১৮
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

ধারাবাহিক বৃষ্টির কারণে ফের শহরে বাড়তে শুরু করেছে ডেঙ্গির সংক্রমণ। চলতি বছর ডেঙ্গু সংক্রমণের নিরিখে শহরের সাতটি ওয়ার্ডকে বিশেষ ভাবে চিহ্নিত করেছে পুরসভা। যেগুলি মূলত দক্ষিণ কলকাতা এলাকাতেই রয়েছে। সেই সাতটি ওয়ার্ডের মধ্যে আবার দু’টি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। একটি কলকাতা পুরসভার ৭০ নম্বর ওয়ার্ড, অন্যটি ৭৭ নম্বর ওয়ার্ড। সেখানে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলেই দাবি কলকাতা পুরসভার। সেখানে যাতে ডেঙ্গি পরিস্থিতি বিশেষ ভাবে মাথাচাড়া না দিতে পারে, সে বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছে পুরসভা। পুরসভা সূত্রে খবর, ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের গঙ্গাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় রোড ও জাস্টিস দ্বারকানাথ রোডে ডেঙ্গি সংক্রমণের প্রমাণ মিলেছে। এ ছাড়াও ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডের ডাক্তার সুধীর বোস রোড, এম এম আলি রোড এবং ডেন্ট মিশন রোডেও ডেঙ্গির সংক্রমণের প্রমাণ মিলেছে বলে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

যে কারণে সোমবার শহরের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেছেন পুরসভার ডেপুটি মেয়র তথা মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ। সেখানেই ডেঙ্গি পরিস্থিতি মোকাবিলা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ঠিক হয়েছে ভবানীপুর বিধানসভা এলাকার ওই দু’টি ওয়ার্ডে বিশেষ ভাবে নজরদারি চালানো হবে। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের পাশাপাশি সাফাইকর্মীদের অতিরিক্ত দায়িত্ব নিয়ে ওই এলাকায় কাজ করতে হবে। এ ছাড়াও দক্ষিণ কলকাতার আরও যে পাঁচটি ওয়ার্ডে ডেঙ্গির সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে, সেগুলি হল ৬৬, ৬৭, ৬৯, ৯৩ এবং ১০৮ নম্বর ওয়ার্ড। আচমকা এমন সংক্রমণ প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার পদক্ষেপের বিষয়ে এক কর্তা জানাচ্ছেন, গত জুনের শেষ থেকে জুলাই মাস জুড়ে বেশি পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছে কলকাতায়। চলতি মাসেও মাঝেমধ্যে বিক্ষিপ্ত ভাবে শহরের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে। এই বৃষ্টির জমা জলের কারণেই সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তা ছাড়া কলকাতার বাসিন্দারা নিজেদের দায়িত্ব প্রসঙ্গে এখনও সচেতন নন। বাড়ির ভিতরে বৃষ্টির জল জমে থাকায় এই সমস্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। পুরসভার কর্মীরা তো কারও বাড়িতে ঢুকে জমা জলের পরিস্থিতি দেখতে পারেন না। তাই নিজের বাড়ির পরিস্থিতি সম্পর্কে বাসিন্দাদের সচেতন থাকতে হবে।

কসবা বিধানসভা এলাকার তিনটি ওয়ার্ডের বেশ কিছু জায়গায় ডেঙ্গির সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে খবর। ৬৬ নম্বর ওয়ার্ডের তপসিয়া রোড, সিএন রায় রোড এবং পিকনিক গার্ডেন রোড এলাকায় সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রমাণ মিলেছে। ৬৭ নম্বর ওয়ার্ডের পিকনিক গার্ডেন রোড, ডাক্তার জিএস বোস রোড এবং সুইন হো লেন, ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডের সানি পার্ক ও বেলতলা বস্তি, ৯৩ নম্বর ওয়ার্ডের গোবিন্দপুর রহিম ওস্তাগার রোড এবং লেক গার্ডেন্সে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়াও ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের গুলশান কলোনিতে সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রমাণ পেয়েছে কলকাতা পুরসভা। এই সংক্রমণ যাতে কোনও ভাবেই মাথাচাড়া না দিতে পারে, সেই বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ করতে পুর আধিকারিকদের কড়া নির্দেশ দিয়েছেন ডেপুটি মেয়র অতীন। বৈঠকের পর পুরসভার এক আধিকারিক দাবি করেন, প্রাথমিক ভাবে পরিস্থিতি দেখে মনে হয়েছিল আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই বাড়বে। কিন্তু গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৩৫ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন শহরে। সার্বিক পরিস্থিতি উদ্বেগজনক নয়। তবে উৎসবের মরসুম তো বটেই, আগামী নভেম্বর মাস পর্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement