Cholera in Kolkata

কলকাতায় কলেরার জীবাণুর উৎস জানতে শহরের পানীয় জলের পরীক্ষা শুরু পুরসভার, নজর আক্রান্তের দিকেও

সোমবার শহরের দ্বিতীয় জন কলেরায় আক্রান্ত হওয়ার পরেই এ বিষয়ে নজর দিয়েছে কলকাতা পুরসভা। আগাম সর্তকতা হিসাবে সেই সব এলাকায় পানীয় জল পরীক্ষা করানো হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০২৫ ১৪:২৯
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

আবার কলকাতায় মিলল কলেরা আক্রান্ত রোগীর খোঁজ। কলেরার উপসর্গ নিয়ে বাইপাসের ধারের একটি হাসপাতালে ভর্তি বছর চারেকের শিশুকন্যা। সেই ঘটনার জেরেই শহরের যে সব জায়গায় জমা জলের সমস্যা দেখা দিয়েছিল, সেই সব এলাকায় পানীয় জলের পরীক্ষা শুরু করে দিল কলকাতা পুরসভা। এমনটাই জানিয়েছেন কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বও তাঁর হাতেই। সোমবার শহরের দ্বিতীয় জন কলেরায় আক্রান্ত হওয়ার পরেই এ বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছে পুরসভা। গত কয়েক সপ্তাহের ধারাবাহিক প্রবল বর্ষণে শহরের একাধিক জায়গায় জল জমে গিয়েছিল। তার ফলে বেশ কিছু এলাকার পানীয় জলে সমস্যা দেখা দিয়েছে কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে চাইছে পুরসভা। তাই আগাম সর্তকতা হিসাবে সেই সব এলাকায় পানীয় জল পরীক্ষা করা হবে।

Advertisement

অতীন বলেন, “শহরে কলেরায় আক্রান্ত হওয়ার কথা জানার পর থেকেই সজাগ রয়েছি। যে সব এলাকায় বৃষ্টির কারণে জল জমার সমস্যা দেখা দিয়েছিল, সেই সব এলাকার পানীয় জল পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে, তাতে কলেরার জীবাণু রয়েছে কি না,”। তবে পুরসভার একটি সূত্র জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত কলকাতার পানীয় জলে কোনও সমস্যা নেই। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, কলেরায় শিশুর বাড়ি বেহালার পর্ণশ্রী এলাকায়। জ্বর, বমি, পেটে ব্যথার মতো একাধিক উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাকে। চলতি মরসুমে এই নিয়ে কলকাতায় দ্বিতীয় জন কলেরায় আক্রান্ত হল।

এর আগে, গত ৭ জুলাই বমি, পেটে যন্ত্রণার মতো একাধিক উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় কলকাতা পুরসভার ৬৭ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত পিকনিক গার্ডেন রোডের এক যুবককে। বাইপাসের ধারে একটি হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা করানো হয়েছিল। কলেরার প্রকোপ ক্রমশ কমে এলেও কলকাতা পুর এলাকায় এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাকে বিরল বলা চলে না। কলেরার চরিত্রগত কারণেই বর্ষার সময়ে এই রোগের প্রকোপ বাড়ে। বিভিন্ন হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছিল, গত বছরও বর্ষায় সময়ে বেশ কয়েক জন কলেরায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement