প্রতীকী ছবি।
যাদবপুর, বাঘাযতীনের পরে আন্ত্রিক নিয়ে আর কোনও রকম ঝুঁকিই নিতে চাইছে না কলকাতা পুরসভা। তাই বড়বাজার এলাকায় যেখানে আন্ত্রিক ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল, সেই এলাকার রাস্তার জলের কল বন্ধ করে দিল পুরসভা। যদিও পুরসভার বক্তব্য, সাবধানতাবশত ওই কল বন্ধ করে দেওয়া হয়ছে। এর সঙ্গে আন্ত্রিকের কোনও সম্পর্ক নেই।
প্রসঙ্গত, বড়বাজারের কিরণশঙ্কর রায় রোড ও ওল্ড কোর্ট স্ট্রিটের কয়েক জন আন্ত্রিকে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওই এলাকার কাউন্সিলর সন্তোষ পাঠক। তার পরেই রবিবার কিরণশঙ্কর রায় রোডের রাস্তার জলের কল পরীক্ষা করে পুরসভা। তার পর সেখানকার একটি জলের কল বন্ধ করে দেয়। আজ, সোমবার গিয়ে ওই জলের কল বদলে দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন পুরকর্তাদের একাংশ।
তবে এর সঙ্গে আন্ত্রিকের কোনও সম্পর্ক নেই বলেই দাবি পুরকর্তাদের। এক পদস্থ কর্তার কথায়, ‘‘যে কলটি পরীক্ষা করা হয়েছে, বরাবরই ওই জলে সমস্যা রয়েছে। তাই সেটা আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সোমবার গিয়ে আবার দেখা হবে।’’ পুর আধিকারিকদের একাংশ এ-ও জানাচ্ছেন যে, এখন সাধারণ পেটের রোগ হলেও সকলে সেটাকে আন্ত্রিক বলে ধরে নিচ্ছেন। ফলে অহেতুক এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হচ্ছে। এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘আন্ত্রিক হচ্ছে বলে তো যে কেউ দাবি করতেই পারেন। কিন্তু তা যে সব সময় ঠিক, তা তো নয়।’’
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অবশ্য দাবি, এলাকায় কয়েক জন এখনও অসুস্থ রয়েছেন। পাঁচ জন এখনও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘এলাকায় কয়েক জন একসঙ্গে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তার কারণ কী, সেটা তো দেখা দরকার। আমরা তো আর ইঞ্জিনিয়ার নই, যে জলের পাইপলাইনে সমস্যা ধরতে পারব!’’ কাউন্সিলর সন্তোষবাবু বলেন, ‘‘বরো অফিসে জানিয়েছি। এলাকায় অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।’’
প্রসঙ্গত, বাঘাযতীন, যাদবপুর এলাকায় পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি বলেই জানাচ্ছেন বাসিন্দাদের একাংশ। এখনও সেখানে বেশি টাকা দিয়ে জারের জল কিনে খেতে হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তাঁরা।