KMC & Hawker

হকার নীতি কার্যকর করতে শহরের হকারদের ডিজিটাল কার্ড দেবে কলকাতা পুরসভা, অগস্ট থেকেই শুরু বিতরণ

কলকাতা পুরসভার দাবি, ডিজিটাল কার্ডের ফলে শুধু বেআইনি দখলদারি রোখা যাবে এমন নয়, বরং অনিয়ম করে ব্যবসা করা হকারদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া সহজ হবে। বুধবার পুরসভার টাউন ভেন্ডিং কমিটি (টিভিসি)-র বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২৫ ১৪:৩৩
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

অবশেষে শহরের ফুটপাত হকারদের জন্য ডিজিটাল ভেন্ডিং সার্টিফিকেট দেওয়ার কাজ শুরু করতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। সব ঠিকঠাক চললে আগামী ১৬ অগস্ট থেকে এই শংসাপত্র বিলি শুরু হবে বলে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে। নতুন এই কার্ডগুলি হবে সম্পূর্ণ ভাবে ডিজিটাল। প্রতিটি কার্ডে থাকবে একটি কিউআর কোড, যার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট হকারের যাবতীয় তথ্য জানা যাবে। ফলে কারও বিরুদ্ধে বেআইনি ভাবে অন্যকে স্টল বিক্রি করা বা জায়গা ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠলে সহজেই তাঁকে শনাক্ত করা যাবে।

Advertisement

কলকাতা পুরসভার দাবি, এই ডিজিটাল কার্ডের ফলে শুধু বেআইনি দখলদারি রোখা যাবে না, বরং অনিয়ম করে ব্যবসা করা হকারদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া সহজ হবে। বুধবার পুরসভার টাউন ভেন্ডিং কমিটি (টিভিসি)-র বৈঠকে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে, প্রথম দফায় ৮,৭২৭ জন হকারকে এই ডিজিটাল শংসাপত্র দেওয়া হবে। তাঁদের সকলেই ২০১৫ সালে এবং সাম্প্রতিক সমীক্ষায় নাম নথিভুক্ত করেছেন এবং নিয়ম মেনে নির্দিষ্ট স্থানে হকারি করছেন। পুনর্বাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কলকাতা পুরসভার এক আধিকারিক বলেছেন, ‘‘প্রত্যেক ডিজিটাল কার্ডে থাকবে কিউআর কোড। নতুন এই পদ্ধতির ফলে কেউ বেআইনি ভাবে কলকাতা শহরে হকারি করলে, তা খুব সহজেই ধরা যাবে।” তিনি আরও বলেন, ‘‘সার্টিফিকেট পিছু বছরে আটশো টাকা মূল্য ধার্য করা হয়েছে। প্রতি বছর এই পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে সার্টিফিকেটের পুনর্নবীকরণ করা যাবে।’’

নতুন এই ডিজিটাল কার্ড থাকলে ব্যবসার ক্ষেত্রে নানা সুযোগসুবিধা পাবেন হকারেরা। যেমন ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিতে পারবেন, তেমনই এটি তাঁদের স্বনির্ভর হতে সাহায্য করবে বলে মনে করছেন পুরসভার আধিকারিকদের একাংশ। একই সঙ্গে শহরের হকার দখলদারি রুখতে পুরসভা, টিভিসি এবং পুলিশ যৌথ ভাবে নিউ মার্কেট, চাঁদনি চক, ধর্মতলা-সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নিয়মিত অভিযান চালাবে। যেখানে যত্রতত্র হকার বসে রয়েছেন, সেই জায়গাগুলিকে দখলমুক্ত করা হবে বলে ঠিক হয়েছে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, গত বছর লোকসভা নির্বাচনের পর নবান্নের এক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শহরের বিভিন্ন অংশে হকারদের লাগামহীন দখলদারির বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। তাঁর নির্দেশেই কলকাতা শহরে হকার অভিযান শুরু হয়, যা পুজোর মরসুমে থমকে গেলেও চলতি বছরের মে মাস থেকে ফের শুরু হয়েছে। এই ডিজিটাল শংসাপত্র প্রদান সেই উদ্যোগেরই একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ বলে মনে করা হচ্ছে। গত বছর শহরের হকারদের নিয়ে একটি সমীক্ষা চালায় কলকাতা পুরসভা। তাতে নথিভুক্ত হন ৫৪,১৭৮ জন হকার। তাঁদের মধ্যে প্রথম দফার সমীক্ষায় চিহ্নিত প্রায় ১৪ হাজার হকারের মধ্যে থেকে নিয়ম মেনে চলা ৮,৭২৭ জনকে শংসাপত্র দেওয়া হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement