জলাশয় রক্ষায় থানায় তালিকা রাখবে পুরসভা

মাসখানেক আগে ই এম বাইপাস সংলগ্ন নয়াবাদ, পঞ্চসায়র-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় জলাশয় বুজিয়ে নির্মাণের খবর পেয়ে ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৎকালীন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় সে কথা স্বীকার করে জানিয়েছিলেন, ২৫-৩০ বছর আগেও বাইপাসের ধারে ছিল বহু জলাশয়।

Advertisement

অনুপ চট্টোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ০১:২৭
Share:

—প্রতীকী ছবি।

শপথ নিয়ে চেয়ারে বসে প্রথম দিনই কলকাতার নবাগত মেয়র বলেছিলেন, তাঁর অগ্রাধিকারের তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে শহরের পরিবেশ রক্ষা। সেই সঙ্গে এ বার শহরের জলাশয় সংরক্ষণেও জোর দিতে চান ফিরহাদ হাকিম। মেয়র জানিয়েছেন, শহরের কোন এলাকায় ক’টি পুকুর বা জলাশয় রয়েছে, সেই তথ্য পুলিশের কাছেও দিয়ে রাখবেন পুর কর্তৃপক্ষ। প্রতিটি থানায় একটি বোর্ডে সংশ্লিষ্ট এলাকার পুকুর ও জলাশয়ের তালিকা লিখে রাখা হবে। বৃহস্পতিবার কলকাতা পুলিশের পদস্থ অফিসারকে সেই ব্যাপারে নির্দেশও দিয়েছেন মেয়র।

Advertisement

মাসখানেক আগে ই এম বাইপাস সংলগ্ন নয়াবাদ, পঞ্চসায়র-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় জলাশয় বুজিয়ে নির্মাণের খবর পেয়ে ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৎকালীন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় সে কথা স্বীকার করে জানিয়েছিলেন, ২৫-৩০ বছর আগেও বাইপাসের ধারে ছিল বহু জলাশয়। এখন সে সব জায়গায় হাজার হাজার ফ্ল্যাট তৈরি হয়েছে। জলা বোজানো শুরু হয়েছে বাম আমলে, চলেছে তৃণমূলের জমানাতেও। বিষয়টি দেখার জন্য পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতা পুরসভা, জেলা ও পুলিশ প্রশাসন এ বিষয়ে সমীক্ষা করছে।

মজার কথা হল, জলাশয় বুজিয়ে নির্মাণ বেআইনি হওয়া সত্ত্বেও অভিযোগ উঠেছে, বহু ক্ষেত্রেই পুরসভা ও মৎস্য দফতরের অনুমোদন নিয়ে তা করা হয়েছে। সেই অনুমোদনের কাগজ আসল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুর প্রশাসন। মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে নিয়ে খুব শীঘ্রই ওই এলাকায় যাবেন তিনি। পানীয় জলের সমস্যার পাশাপাশি জলাশয় সংরক্ষণের বিষয়েও নজরদারি বাড়ানো হবে।

Advertisement

পুরসভা সূত্রের খবর, কলকাতা শহরের জলাশয় বিষয়ক একটি মানচিত্র পুরসভার কাছে থাকলেও বাস্তবের সঙ্গে তা মিলছে না। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, রেকর্ডে পুকুরের উল্লেখ থাকলেও ঠিকানায় তার কোনও চিহ্ন নেই। এ বার তাই ঠিক হয়েছে, বাস্তব চিত্র দেখে জলাশয়ের নতুন তালিকা তৈরি করা হবে। তা পাঠানো হবে শহরের সমস্ত থানায়। পুলিশের কাছে যেমন স্থানীয় অপরাধীদের তালিকা থাকে, ঠিক সেই ভাবে স্থানীয় জলাশয়ের তালিকাও থাকবে। মেয়র বলেন, ‘‘পরিবেশ এবং জলাশয় রক্ষায় সব রকম চেষ্টা চালানো হবে। আশা করছি, মানুষের সহযোগিতাও পাব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন