মিছিলে আবার ভোগান্তি শহরের

পুলিশ সূত্রের খবর, শনিবার দুপুর বারোটায় শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল করে বিজেপি সমর্থকেরা মুরলীধর সেন লেনে রাজ্য সদর দফতরের সামনে জড়ো হন। এ দিন প্রায় একহাজার সমর্থক মিছিলে ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। দুপুর ১টা ৫০ নাগাদ মিছিল শুরু হতেই যানজট আরও তীব্র আকার নেয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০১৭ ০০:২০
Share:

উদ্বেগ। কখন খুলবে পথ? তারই অপেক্ষায় ট্যাক্সিচালক। শনিবার, ধর্মতলায়। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক

ধর্মতলা যাওয়ার জন্য শ্যামবাজার থেকে দুপুর দেড়টায় বাসে চেপেছিলেন বেহালার বাসিন্দা আকাশ শর্মা। ধর্মতলায় পৌঁছতে তাঁর সময় লেগে গেল প্রায় এক ঘণ্টা। শনিবার দুপুরে আকাশবাবুর মতোই যানজটের কবলে পড়ে নাস্তানাবুদ হতে হয়েছে অনেককেই। সৌজন্যে বিজেপি-র মিছিল।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, শনিবার দুপুর বারোটায় শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল করে বিজেপি সমর্থকেরা মুরলীধর সেন লেনে রাজ্য সদর দফতরের সামনে জড়ো হন। এ দিন প্রায় একহাজার সমর্থক মিছিলে ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। দুপুর ১টা ৫০ নাগাদ মিছিল শুরু হতেই যানজট আরও তীব্র আকার নেয়। শ্যামবাজারের দিক থেকে আসা গাড়ি দীর্ঘক্ষণ সার দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ের দু’পাশই দীর্ঘক্ষণ অবরুদ্ধ থাকে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপি-র মিছিলের জেরে উত্তর ও মধ্য-সহ দক্ষিণ কলকাতার বিস্তীর্ণ অংশ যানজটের কবলে পড়ে। কলেজ স্ট্রিট, মহাত্মা গাঁধী রোড, নির্মল চন্দ্র স্ট্রিট, সূর্য সেন স্ট্রিট, লেনিন সরণি, এস এন ব্যানার্জি রোড, মৌলালি, জওহরলাল নেহরু রোডে গাড়ির গতি থেমে যায়। মিছিল ধর্মতলায় গিয়ে শেষ হয় দুপুর আড়াইটে নাগাদ।

Advertisement

মিছিলকারীরা আড়াইটে থেকে প্রায় আধ ঘণ্টা ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিং অবরুদ্ধ করে রাখেন। তার জেরে নাকাল হতে হয় বহু মানুষকে। শিয়ালদহ ও মৌলালি থেকে আসা বাস দীর্ঘক্ষণ এস এন ব্যানার্জি রোডে আটকে থাকে। একই অবস্থা হয় লেনিন সরণিতে। উত্তরমুখী বাসকে পার্ক স্ট্রিট থেকে মেয়ো রোডের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। ফলে মেয়ো রোডে গাড়ির চাপ বেশি থাকায় গতিও ছিল বেশ শ্লথ।

এ দিন ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজের জন্য ব্রেবোর্ন রোড উড়ালপুল বন্ধ থাকায় স্ট্র্যান্ড রোডে গাড়ির চাপ বেশি ছিল। ফলে মিছিল চলাকালীন স্ট্র্যান্ড রোডেও কিছুক্ষণ গাড়ি খুব ধীর গতিতে চলেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন