চার বছর আগে কলকাতা বিমানবন্দরে নতুন টার্মিনাল তৈরির সময়ে বাড়ানো হয়নি পার্কিং বে-র সংখ্যা। তাই চার বছরের মাথায় বিমান দাঁড় করানোর সমস্ত পার্কিং বে ভর্তি হয়ে গেল।
এর ফলে চেয়েও এখন আর পার্কিং বে পাচ্ছে না ইন্ডিগো। পরিকল্পনা থাকলেও কলকাতা থেকে উড়ান সংখ্যা বাড়াতে পারছে না তারা। পার্কিং বে পেলে কলকাতা থেকে সিঙ্গাপুরে উড়ান চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। উড়ান বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে ইনদউর, রাঁচি, কোচি, তিরুঅনন্তপুরমের মতো শহরেও।
শুধু ইন্ডিগো নয়, রাতে বিমান রাখার জন্য দু’টি পার্কিং বে চেয়েছে এয়ার এশিয়া ইন্ডিয়াও। গো এয়ার একটি চেয়েছে। তারাও পাচ্ছে না।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান গুরুপ্রসাদ মহাপাত্র জানান, কলকাতায় যে সংখ্যক পার্কিং বে রয়েছে, তা সারা দিন ধরে বিমান ওঠানামার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু রাতে বিমান রাখার জন্য আবেদনের সংখ্যা বাড়ছে। তাঁর কথায়, ‘‘দেশের সমস্ত বিমানবন্দরেই পার্কিং বে বাড়ানোর কাজ চলছে। কলকাতাতেও পার্কিং বে-র সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে।’’
প্রতিটি বিমানবন্দরেই কিছু সংখ্যক বিমান সারা রাত দাঁড়িয়ে থাকে। ভোরের যাত্রীদের নিয়ে উড়ে যায় গন্তব্যে। কলকাতায় এই মুহূর্তে রাতে সবচেয়ে বেশি বিমান থাকে ইন্ডিগোরই। সেই সংখ্যাটা ১৪। প্রতি রাতে কলকাতায় স্পাইসজেট, এয়ার ইন্ডিয়া এবং জেট এয়ারওয়েজের ৫টি করে বিমান থাকে। এয়ার এশিয়া ইন্ডিয়া এবং ভিস্তারার একটি করে এবং গো এয়ারের দু’টি বিমান থাকে। সব মিলিয়ে ৩৩টি বিমান থাকে রাতে।
কলকাতায় পার্কিং বে-র সংখ্যা এখন ৪৪। এর মধ্যে একটি ভিআইপি বিমান এবং আর একটি আচমকা বিগড়ে যাওয়া বিমানের জন্য আলাদা রাখা থাকে। দু’টি পার্কিং বে থাকে ৭-৮ আসনের বিমানের জন্য। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রের ৭টি পার্কিং বে ব্যবহার করে বিদেশি বিমানসংস্থাগুলি। বাকি রইল সেই ৩৩টি পার্কিং বে।
উচ্চ শ্রেণির যাত্রীর অভাব রয়েছে বলে কলকাতা থেকে ইউরোপের সরাসরি উড়ান সব বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তুলনায় কলকাতা থেকে ভালো ব্যবসা করছে ইন্ডিগো, স্পাইসজেটের মতো সস্তার বিমানসংস্থা। সেই সব বিমানসংস্থার কর্তারাই প্রশ্ন তুলেছেন, পার্কিং বে না পাওয়া গেলে কলকাতা থেকে উড়ান সংখ্যা বাড়বে না।
ইন্ডিগোর ডিরেক্টর (কর্পোরেট কমিউনিকেশন) অজয় জাসরা জানান, রাতে আরও দু’টি বিমান কলকাতায় রাখার জন্য বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে যে আবেদন মাস চারেক আগে তাঁরা পাঠিয়েছেন, এখনও তার জবাব আসেনি। মৌখিক ভাবে জানানো হয়েছে, রাতে বিমান রাখার মতো খালি পার্কিং বে নেই।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, দু’টি পার্কিং বে সারানোর কাজ চলছে। একটি বড় বিমানের পার্কিং বে ভেঙে দু’টি বে তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। এ ছাড়াও বেশ কয়েকটি হ্যাঙার (বিমানের গ্যারেজ) রয়েছে, যেখানে ছোট বে-গুলি বড় করার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে এ সব তৈরি হতে সময় লাগবে।