ফাইল ছবি
মেট্রোয় ওঠার সময়ে দরজার খাঁজে আঙুল আটকে হারিয়ে যাওয়া আংটি ফিরিয়ে দিলেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
মেট্রো সূত্রের খবর, গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ দমদম থেকে কবি সুভাষগামী মেট্রো ধরার জন্য অপেক্ষা করছিলেন সোদপুরের বাসিন্দা বছর বাইশের এক যুবক। দমদম থেকে মেট্রোতে ওঠার সময়ে ভিড়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কিতে ডান দিকের দরজায় গিয়ে পড়েন ওই যুবক। টাল সামলানোর জন্য দরজায় ভর দেওয়ার চেষ্টা করলে ডান হাতের একাংশ দরজার খাঁজে ঢুকে যায়। হাত টেনে বার করার সময়ে তাঁর কড়ে আঙুলে থাকা পান্না বসানো রুপোর আংটি দরজার খাঁজে পড়ে যায়। এর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে মেট্রোর দরজা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আংটি বার করার আর সুযোগ পাননি ওই যুবক।
সোদপুরের পূর্বপল্লির বাসিন্দা ওই যুবক কালীঘাটে একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী। আংটি হারানোর বিষয়টি তিনি মেট্রোর হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে জানান। ওই মেট্রোটির নিউ গড়িয়া পৌঁছনো পর্যন্ত তাঁকে অপেক্ষা করতে বলা হয়। মেট্রো নিউ গড়িয়া পৌঁছলে যাত্রীরা নেমে যান। কিন্তু ওই যুবক রেলের তরফে কাউকে দেখতে না পেয়ে রেক থেকে নামেননি। ট্রেনটি দমদমে ফেরার পথ ধরে। ওই সময়ে প্রতিটি স্টেশনে নিয়মমাফিক কামরার দরজা খোলা-বন্ধ হয়েছে।
ট্রেনটি কালীঘাটে পৌঁছলে ওই যুবক ট্রেন থেকে নেমে যান। বিষয়টি স্টেশন মাস্টারকে জানান। তিনি যে মেট্রোয় উঠেছিলেন তার বিবরণ ও সময় জেনে স্টেশন মাস্টার কন্ট্রোলরুমে ও নোয়াপাড়া কারশেডে জানান। যুবকের নাম ঠিকানা, ফোন নম্বর নিয়ে রাখা হয়। ওই তথ্য দমদম স্টেশনকেও জানিয়ে রাখা হয়।
যুবককে জানানো হয় মেট্রোর দরজা যেহেতু অনেক বার খোলা-বন্ধ হয়েছে তাই মাঝপথে আংটি পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। খুঁজে পাওয়া গেলে অবশ্যই আংটি তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। ওই দিনই দুপুর দেড়টা নাগাদ দমদম স্টেশন থেকে ফোন পান ওই যুবক। তাঁকে জানানো হয় কামরার স্লাইডিং দরজার চ্যানেল থেকে উদ্ধার করা গিয়েছে ওই আংটি।
বিকেলে দমদম মেট্রোর স্টেশন মাস্টারকে সচিত্র পরিচয়পত্র দেখিয়ে আংটি ফিরে পান ওই যুবক। লিখিত ভাবে জানিয়েও আসেন, তিনি আংটি বুঝে নিলেন। ওই যুবক বলেন, “আংটি পড়ে যাওয়ায় মুষড়ে পড়েছিলাম। ওখানেই যে পড়েছে বুঝেছিলাম। অথচ দেখাও যাচ্ছিল না। ফিরে পেয়ে খুব ভাল লাগছে।”
মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,“আংটি বা ওই জাতীয় ছোট কিছু পড়লে অনেক সময়েই দরজা খোলা-বন্ধে তার কোনও প্রভাব পড়ে না। যাই হোক ওই যুবক যে আংটি ফেরত পেয়েছেন এটাই বড় কথা।”