ছবি সংগৃহীত।
চেন্নাই থেকে আনা নতুন রেকেও ‘রাহু-মুক্তি’ হল না।
দু’টি নতুন রেক চালু করেও নানা সমস্যার জেরে সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই সে দু’টি কার্যত বসিয়ে রাখতে বাধ্য হচ্ছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। রেকগুলি ঠিক কবে নিয়মিত চালানো যাবে, তাও নির্দিষ্ট করে জানাতে পারছেন না কেউই। এমনকি, ওই সমস্যার জেরে ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি (আইসিএফ) থেকে এসে কারশেডে পড়ে থাকা বাকি তিনটি নতুন রেকের ভবিষ্যত নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে। যদিও চিনের ডালিয়ান থেকে আসা অপেক্ষাকৃত ভাবে উন্নত মানের এসি রেকগুলি নিয়ে নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। তবে ওই রেককেও পরিষেবা দেওয়ার কাজে ব্যবহার করতে ন্যূনতম মাস তিনেক সময় লাগতে পারে বলেই মেট্রো সূত্রের খবর। সে ক্ষেত্রে গরমের সময়ে যাত্রীদের যন্ত্রণা বাড়বে কি? মেট্রো কর্তৃপক্ষের যদিও দাবি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সচেষ্ট তাঁরা।
গত ৩ এবং ৪ এপ্রিল পর্যায়ক্রমে দু’টি নতুন এসি রেক চালু করা হয়। প্রাথমিক ভাবে দিনে দু’বার যাতায়াত করছিল নতুন রেক দু’টি। তাতে অনান্য এসি এবং নন এসি রেকের উপরে চাপ সামান্য কমেছিল। সব কিছু ঠিক থাকলে ওই রেকগুলি বেশি বার চালানো হবে বলেও জানিয়েছিলেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। কিন্তু নতুন রেক চলতে শুরু করতেই একে একে সমস্যা উঠে আসতে থাকে বলে মেট্রো সূত্রে খবর। তার মধ্যে দু’টি রেকেরই চালকের কেবিন সংলগ্ন ড্রাইভার-টেলর কোচের (ডিটিসি) ছাদ থেকে জল পড়ার সমস্যা ছিল। অনান্য কামরাতেও অল্পবিস্তর সেই সমস্যা ছিল। এ ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি গুরুতর সমস্যা দেখা দিয়েছে। কামরার দরজা ঠিকমতো খোলা বা বন্ধ না হওয়া, ব্রেক ঠিকমতো প্রযুক্ত না হওয়া, ট্রেনের মোটর থেকে আচমকা বিদ্যুৎ চলে যাওয়া, অত্যধিক গরমের জেরে কিছু যন্ত্রাংশ ঠিকমতো কাজ না করা, কামরার জানলা দিয়ে বৃষ্টির জল চুঁইয়ে ঢোকার মতো সমস্যা ধরা পড়ে। মেট্রো সূত্রে খবর, নতুন রেকের দরজা পুরো পরিসরে খুলছিল না বলে জানিয়েছেন নজরদারির দায়িত্বে থাকা মেট্রোকর্মীরা। দরজার বেশির ভাগ অংশ খুললেও দু’পাশে বেশ কিছুটা অংশ খোলার ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে বলে অভিযোগ। দরজা বন্ধ হওয়ার ক্ষেত্রেও সমস্যা চোখে পড়েছে। স্টেশনে ট্রেন দাঁড় করিয়ে রাখার সময়ে যে ব্রেক প্রয়োগ করা হয়, তার বদলে প্রায়ই ‘পার্কিং ব্রেক’ নিজে থেকে সক্রিয় হয়ে ওঠায় সমস্যায় পড়েছেন চালকেরা।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
ওই সব সমস্যা সত্ত্বেও কী ভাবে রেকগুলি চলার ছাড়পত্র পেল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রায় দু’বছর ধরে চেষ্টার পরেও কেন ওই সব ত্রুটি দূর করা গেল না, সে প্রশ্নও উঠেছে। যদিও মেট্রো কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এক মেট্রো কর্তা জানান, সমস্যা মেটানোর জন্য রেকের নির্মাণ সংস্থা আইসিএফ ছাড়াও সংশ্লিষ্ট অন্য দু’টি সংস্থার সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আইসিএফের দু’নম্বর রেক মঙ্গলবার চলেছে। আপাতত কিছু সমস্যা ধরা পড়ায় রেকগুলির চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। সমস্যা মিটলে চালানো হবে।’’