সেতুতে আর রং করবে না পুরসভা 

এতকাল শহরের সেতুতে নীল-সাদা রং করার কাজ করত পুরসভা। সেতুর উপরের রেলিংয়েও দেওয়া হত সেই রং।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০০:০৯
Share:

এতকাল শহরের সেতুতে নীল-সাদা রং করার কাজ করত পুরসভা। সেতুর উপরের রেলিংয়েও দেওয়া হত সেই রং। তবে এ বার থেকে আর সেতুতে হাত দেবে না পুরসভা।

Advertisement

মঙ্গলবার শহরের পুজোর প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক করেন পুর কমিশনার খলিল আহমেদ, বিশেষ কমিশনার তাপস চৌধুরী-সহ পদস্থ আধিকারিকেরা। ভিডিয়ো কনফারেন্সে ছিলেন পুরসভার প্রতিটি বরোর এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারেরাও। সেখানেই পুরসভার ডিজি (সিভিল) জানিয়েছেন, শহরের কোনও সেতুর উপরে আর কাজ করবে না পুরসভা।

কেন? পুরসভা সূত্রের খবর, মাঝেরহাট সেতু বিপর্যয়ের পরে শহরের কোন সেতু রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব কার, তা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলে। শহরের প্রায় ১৮টি সেতুর দায়িত্ব কার, তা নিয়ে বাদানুবাদ হয় পুরসভা এবং কেএমডিএ-র মধ্যে। কেএমডিএ-র বক্তব্য, সেতুর দায়িত্ব পুরসভার না হলে তারা রং করে কেন? পুরসভার পাল্টা বক্তব্য ছিল, সেতু তৈরি বা রক্ষণাবেক্ষণের পরিকাঠামো তাদের নেই। তাই কোনও সেতুর দায়িত্বও পুরসভার নয়। যদিও একাধিক সেতুতে রং করার পরে ফলক লাগিয়ে সে কথা জানায় পুর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ভবিষ্যতে যাতে সেই ভুল না হয়, তার জন্য এ দিন পুজো সংক্রান্ত বৈঠকে পরিষ্কার ভাবে ইঞ্জিনিয়ারদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রতি বছর সেতু ও রেলিংয়ে রং করার কাজ হলেও এ বার থেকে সেই কাজ আর করবে না পুরসভা।

Advertisement

শহরের পুজো কমিটিগুলিকে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়ার যে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, এ দিনের বৈঠকে তা নিয়েও আলোচনা হয়। এক পুর আধিকারিক জানান, শহরে প্রায় তিন হাজার বারোয়ারি পুজো হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। এর মধ্যে দেড় হাজার পুজো কমিটিকে ১০ হাজার করে টাকা দেবে পুরসভা। বাকি দেড় হাজার পুজো কমিটি দমকল দফতর থেকে টাকা পাবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন