বিমান যেখানে দাঁড়ায়, সেই পার্কিং বে নিয়ে এখনও চিন্তা রয়ে গিয়েছে কলকাতা বিমানবন্দরে। শনিবার রাতে সিঙ্গাপুর থেকে এসে একটি বড় এয়ারবাস ৩৩০ বিমান প্রধান রানওয়েতে খারাপ হওয়ায় পার্কিং-এর সমস্যা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ, পার্কিং না মেলায় প্রায় ৫০ মিনিট বিমানেই বসে ছিলেন যাত্রীরা।
বিমানবন্দর সূত্রের খবর, রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ প্রধান রানওয়েতে নামার পরে বিমানটির হাইড্রলিক ব্যবস্থা থেকে তেল বেরোতে শুরু করে। বিমানটি প্রধান রানওয়ে থেকে ডেলটা ট্যাক্সিওয়েতে ঢোকার মুখে দাঁড়িয়ে যায়। ওই সময়ে আরও তিনটি বিমানের নামার কথা ছিল। ছাড়ার জন্য দাঁড়িয়ে ছিল আরও তিনটি বিমান। কিন্তু সিঙ্গাপুরের বিমানটি প্রধান রানওয়ে আটকে দেয়। ১০ মিনিটের মধ্যে দ্বিতীয় রানওয়ে চালু করে আকাশে চক্কর কাটতে থাকা বিমানগুলিকে নামানো হয়। কলকাতা থেকে তিনটি বিমান ছেড়েও যায়। কিন্তু হাইড্রলিক ব্যবস্থা কাজ না করায় নিজে থেকে এগোনোর ক্ষমতা ছিল না বিকল বিমানটির। এরোব্রিজে নিয়ে গিয়ে ওই বিমান থেকে যাত্রীদের নামানো যেত। কিন্তু সে ক্ষেত্রে বিমানটি আরও বিগড়ে গেলে এরোব্রিজও আটকে যাবে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়।
বিমানবন্দর সূত্রের খবর, বড় বিমান দাঁড়ানোর পার্কিং বে-র মধ্যে পাঁচটি রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জন্য বন্ধ রয়েছে। শনিবার রাতে বাকি তিনটি পার্কিং বে-তে বিমান দাঁড়িয়ে ছিল। তাদের মধ্যে একটি বিমানের ছাড়ার সময় হয়ে গিয়েছিল। সেটি পার্কিং বে থেকে বেরোনোর পরে বিকল বিমানটিকে সেখানে নিয়ে গিয়ে অবশেষে ক্ষুব্ধ যাত্রীদের নামিয়ে আনা হয়। কলকাতা বিমানবন্দরের এক অফিসার বলেন, ‘‘যাত্রীরা যখন জানলা দিয়ে দেখেন, বাইরে অ্যাম্বুল্যান্স, দমকল, কর্মীরা ছোটাছুটি করছেন আর তাঁদের বিমানের ভিতরে বসিয়ে রাখা হয়েছে, তখন স্বাভাবিক ভাবেই ভয় কাজ করে।’’
রবিবার কলকাতা বিমানবন্দরের অধিকর্তা অতুল দীক্ষিত বলেন, ‘‘এখন কলকাতায় যত বিমান ওঠানামা করে, তার জন্য প্রয়োজনীয় পার্কিং বে রয়েছে। কিছু নতুন পার্কিং বে তৈরির কাজ এই বছরে শুরুও হচ্ছে।’’ বিমানবন্দর সূত্রের খবর, এয়ার ইন্ডিয়ার ইঞ্জিনিয়ারেরা শনিবার রাত থেকেই বিমানটি সারানোর কাজ শুরু করে দেন। রবিবার সন্ধ্যায় সেটি সিঙ্গাপুর উড়ে যায়।