প্রতীকী ছবি।
একটি অসম্পূর্ণ পার্ক, আর একটি জলাজমি। উত্তর দমদম পুরসভার পুরপ্রধান এবং উপ-পুরপ্রধানের যে দ্বন্দ্ব এত দিন দল এবং পুরসভার অন্দরেই আবর্তিত হচ্ছিল, ওই পার্ক আর জলাজমির জন্যই বুধবার তা প্রকাশ্যে এল বলে অভিযোগ। তার জেরে যে ধুন্ধুমার ঘটল, তাতে চিন্তায় দলের নেতারা।
দলীয় সূত্রের খবর, বিষয়টি মেটাতে জেলা নেতৃত্ব ওই পুরসভার সব কাউন্সিল রদের নিয়ে রবিবার বৈঠক ডেকেছেন। সেখানে পুরপ্রধান এবং উপ-পুরপ্রধানকে ‘সতর্ক’ করা হবে। আরও কয়েকজন কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অনৈতিক কাজের অভিযোগ রয়েছে। সতর্ক করা হবে তাঁদেরও।
পুরপ্রধান কল্যাণ কর জানান, ১১ নম্বর ওয়ার্ডে একটি জলাজমি ভরাট করা হচ্ছিল। তিনি বলেন, ‘‘কে বা কারা সোশ্যাল মিডিয়ায় রটিয়ে দেয় আমার মদতেই তা হচ্ছে। দিন তিনেক আগে গিয়ে তা দেখি। তার পরেই ওখানকার মাটি তুলে ফেলার নির্দেশ দিই।’’ কল্যাণের অভিযোগ, পুরসভার জেসিবি যন্ত্র দিয়ে মাটি তোলা হচ্ছিল। পুরসভায় ফেরার পথে সেগুলিকে ৪ নম্বর ওয়ার্ডে আটকে দেওয়া হয়। ওই ওয়ার্ডটিই উপ-পুরপ্রধান শেখ নিজামুদ্দিনের।
কল্যাণের সরাসরি তির নিজামুদ্দিনের দিকেই। পুকুর ভরাটে কি তাঁদের মদত রয়েছে? কল্যাণ বলেন, ‘‘জানি না। তবে ওঁরা বলছেন, ওটা খেলার মাঠ। বাকিটা বুঝে নিন।’’ নিজামুদ্দিন পাল্টা বলেন, ‘‘মিথ্যা কথা। বাম আমল থেকেই ওটা খেলার মাঠ। বাড়ি তৈরির জন্য আশপাশের জমি উঁচু হয়ে যাওয়ায় জমিটি নিচু হয়ে গিয়েছে। তা ছাড়া ওটা খাস জমি।’’
নিজামুদ্দিনের দাবি, পুরসভা থেকেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল, কঠিন বর্জ্য ফেলে ওই জমি উঁচু করা হবে। তাঁর অভিযোগ, পুরপ্রধানের কাছের কিছু লোক তাঁকে ভুল খবর দিয়েছিল। আর জেসিবি আটকানোর জন্য তাঁর যুক্তি, কাঁচা রাস্তার উপর দিয়ে ভারি গাড়ি দিন দুয়েকের জন্য চালাতে বারণ করা হয়েছিল।
তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গোটা ঘটনায় চরম অসন্তুষ্ট। তিনি বলেন, ‘‘জনগণের মধ্যে
বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয়, তেমন কাজ করা যাবে না। বৈঠকে সকলকে সাবধান করা হবে।’’