প্রতীকী ছবি।
ভাগাড়ের মাংস নিয়ে ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশের কাছ থেকে তদন্তভার নিল সিআইডি। বুধবার দুপুরে সিআইডি-র সদর দফতরে ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশ ও সিআইডি-র পদস্থ কর্তাদের মধ্যে আলোচনার পরে হাতবদল হয়েছে তদন্তের।
সিআইডি ও ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত এই মামলায় মোট ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে আট জন বিচারবিভাগীয় হেফাজতে। নারকেলডাঙার হিমঘরে গুদাম ভাড়া নেওয়া বিশু ও তার শাগরেদ সিকন্দর আলি এখন পুলিশি হেফাজতে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ভাগাড়ের মৃত পশুর মাংস পাচারের জাল রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে। এমনকি, প্রতিবেশী কয়েকটি রাষ্ট্রেও তা পাচার করা হত এ রাজ্য থেকে। সিআইডি-র এক কর্তা জানান, ডায়মন্ড হারবার পুলিশের পরিকাঠামো অনুপাতে ভাগাড়-কাণ্ডের বিস্তৃতি অনেক বেশি। সেই কারণেই তদন্তভার সিআইডি-র হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
ভাগাড়ের মাংস পাচারের এই চক্রে একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তিও জড়িত রয়েছেন বলে জেনেছে পুলিশ। কিন্তু পরিকাঠামোগত অসুবিধা থাকায় তল্লাশি-অভিযান চালানোর ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ছিল ডায়মন্ড হারবার পুলিশ। তা ছাড়া, সামনেই পঞ্চায়েত ও মহেশতলা বিধানসভার উপ-নির্বাচন। যার জন্য ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশের ব্যস্ততা আরও বাড়ত। সেই কারণেই ভাগাড়-কাণ্ডের তদন্তভার সিআইডি-কে নিতে হল।
ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশের এক কর্তার কথায়, ‘‘সমস্ত রিপোর্ট সিআইডি-র হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সমস্ত ‘কেস ডায়রি’ও পাঠানো হয়েছে।’’ সিআইডি-র এক কর্তা বলেন, ‘‘ভাগাড়-কাণ্ডে এসপি পদমর্যাদার এক অফিসারের নেতৃত্বে বিশেষ দল (সিট) গঠন করা হয়েছে। মামলার নানা দিক রয়েছে। প্রয়োজনে ধৃতদের জেরা করার জন্য আদালতের কাছে আবেদন করা হবে। তা ছাড়া, ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশের কাছ থেকেও সাহায্য নেওয়া হবে।’’