ফাইল চিত্র।
দুর্ঘটনার চার দিন পরেও বিপদ কাটেনি ইকো পার্কে রাইড বিপর্যয়ে গুরুতর জখম তিন বছরের শিশু রিয়ান নায়েকের।
গত রবিবার সন্ধ্যায় ইকো পার্কের চার নম্বর গেটের কাছে ‘ট্রামপোলিন মিকি মাউস’ রাইডে চড়েছিল অন্তত ১৫ জন শিশু। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ ঝড় উঠলে জয় রাইড সমেত শিশুরা হাওয়ায় উড়ে যায়। মাটিতে আছড়ে পড়ে অন্তত ১৩ জন। তার মধ্যে রিয়ান, তার দিদি মণীষা নায়েক-সহ পাঁচ শিশু গুরুতর ভাবে আহত হয়। বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে
চিকিৎসাধীন তারা।
বুধবার রিয়ানের পরিবারের তরফে সৌরভ মুখোপাধ্যায় জানান, আজ, বৃহস্পতিবার মেডিক্যাল বোর্ড বসবে। তার পরেই রিয়ানের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে। মেডিক্যাল বোর্ডে শিশুর পরিজনদেরও উপস্থিত থাকার কথা। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিউমোনিয়া হয়েছে রিয়ানের। এ দিন সৌরভ বলেন, ‘‘নিউমোনিয়ার জন্য ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। জ্বর কমেছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, মস্তিষ্কে যে একাধিক জায়গায় রক্ত জমাট বেঁধেছিল, ওষুধে তা সারানো সম্ভব। কিন্তু জ্ঞান না ফেরা পর্যন্ত চিকিৎসকেরা সে পথে হাঁটতে চাইছেন না।’’
রিয়ানের দিদি মণীষার শারীরিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সৌরভ জানান, আগের দিনের তুলনায় ভাল আছে সাত বছরের মেয়েটি। তার মুখের ডান দিকে ফোলা থাকলেও শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। আইসিইউয়ে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছে সে। অন্য তিন শিশু— উর্বী শর্মা, জাতিকা শর্মা এবং স্বর্ণিমা কৌশলও আইসিইউয়ে আছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, রিয়ান ছাড়া বাকি চার জনের শারীরিক অবস্থার বেশ উন্নতি হয়েছে।
হাসপাতাল চত্বরের উদ্বেগ ছাপ ফেলেছে হিডকো ভবনেও। রাইড বিপর্যয়ের কারণ খুঁজতে হিডকো চেয়ারম্যানকে একটি রিপোর্ট জমা করতে বলেছিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তবে ঘটনার চার দিন পরেও দুর্ঘটনা নিয়ে কথা বলতে রাজি নন কেউ। এই রাইড বিপর্যয় কার গাফিলতিতে? দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি প্রাথমিক ভাবে কী পেল? এ সব প্রশ্নেরও কোনও উত্তর নেই। এক আধিকারিক বলেন, ‘‘এখন আমরা কেউ কথা বলার মতো অবস্থায় নেই!’’