আলিপুর আদালতে শম্ভু কাও। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র
দলীয় সহকর্মীকে খুনের মামলায় তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলর শম্ভু কাও-সহ পাঁচ জনকে দোষী সাব্যস্ত করল আলিপুর আদালত। বৃহস্পতিবার আলিপুরের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক সুজয় সেনগুপ্ত রায় ঘোষণা করেন।
২০০৩ সালের ২১ মার্চ কলকাতা পুরসভার ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তৃণমূল কর্মী অধীর মাইতির সঙ্গে শম্ভু কাও-সহ ছ’জনের বচসা হয়। অভিযোগ, শম্ভুর নেতৃত্বে অধীরকে মারধর করা হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় অধীরকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার পরে ফেরার হয়ে গিয়েছিলেন শম্ভু। দিন পনেরো পরে তাঁকে উত্তরপ্রদেশের বালিয়া থেকে ধরে পুলিশ। ওই ঘটনায় আট জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। দুই অভিযুক্ত এখনও পলাতক বলে চার্জশিটে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, বাড়ির কাছে একটি কবরস্থানে অধীরের উপর চড়াও হয়েছিল শম্ভুর দলবল। ওই দিন শম্ভুকে মাটিতে ফেলে মারা হয় বলে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। শম্ভুদের মারের চোটেই অধীরের মৃত্যু হয়েছে বলে চার্জশিট দেয় পুলিশ।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার পরে কানা বিকাশ, পেটকাটা বাবলু, অজয় দলুই, শ্যামল মুখোপাধ্যায় নামে শম্ভুর চার অনুগামীকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার দিনই নগদ টাকা ও গয়না নিয়ে চম্পট দিয়েছিলেন শম্ভু। মহেশতলা থানা এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ওই নগদ টাকা ও গয়না উদ্ধার করে পুলিশ। নগদ টাকা ও গয়না রাখার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দেবাশিস সরকার নামে শম্ভুর এক আত্মীয়কে গ্রেফতারও করে পুলিশ। পরে খুনের মামলায় দেবাশিসের জামিন হয়।
এ দিন বিচারক দেবাশিসকে বেকসুর খালাস করেছেন। সোমবার দোষীদের শাস্তি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন বিচারক। বৃহস্পতিবার আদালতে শম্ভু-সহ চার জনকে পেশ করা হয়। শম্ভু কাও-এর আইনজীবী কৌস্তুভ শীল ও অরিন্দম দাস বলেন, ‘‘অধীরবাবু অসুস্থ ছিলেন। ময়না তদন্তের রিপোর্টও পেশ করা হয়েছিল। আমরা উচ্চ আদালতে আবেদন করব।’’ শম্ভুর অনুগামীদের আইনজীবী সঞ্জয় বসুও বলেন, ‘‘আমরা উচ্চ আদালতে আবেদন করব।’’ গ্রেফতারের পর থেকে শম্ভু-সহ চার জন জেল হেফাজতেই রয়েছেন।