এই ভাবে জানলার কাঁচ ভেঙে বাইরে বার হতে চেষ্টা করেন যাত্রীরা।
ঝড়ের দাপটে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দমদম স্টেশনের আগে আপ লাইনে আটকে গিয়েছিল যে মেট্রো, তারই কয়েক জন যাত্রী বেলগাছিয়া স্টেশনে পৌঁছে ভাঙচুর চালিয়েছিলেন। ভাঙচুরের অভিযোগে রাতেই চার যাত্রীকে আরপিএফ আটক করে উল্টোডাঙা থানার হাতে তুলে দেয়। পুলিশ জানায়, আটক চার জনই গ্রেফতার হয়েছে। ধৃতদের নাম বিশালকুমার সাউ, বিকাশ জানা, অজয় মিশ্র এবং সুদীপ রায়। কর্তৃপক্ষের দাবি, এই ঘটনায় প্রায় ছ’লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে মেট্রোর রেলের।
গত রবিবার, পয়লা বৈশাখে নেতাজি মেট্রো স্টেশনেও একই ঘটনা ঘটে। পরপর ভাঙচুরের ঘটনা থেকে তাই শিক্ষা নিয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণের কথা ভাবছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। পুরনো নন এসি রেকে সমস্যা হতে পারে, এমনটা ধরেই কর্মীদের পরিস্থিতি মোকাবিলা করার উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিতে চান কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে ঘোষণা ব্যবস্থা দ্রুত করার দিকে নজর দেওয়া হবে। দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। মঙ্গলবারের ঘটনায় গ্রেফতার, তারই ইঙ্গিত।
বুধবার মেট্রোর ইলেকট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল, কারশেড, সিগন্যালিং, আরপিএফ-সহ বিভিন্ন দফতরের কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন মেট্রো রেলের জেনারেল ম্যানেজার অজয় বিজয়বর্গীয়। রেকের রক্ষণাবেক্ষণে জোর দেওয়ার পাশাপাশি, স্টেশনে আপৎকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলায়
আরপিএফ-কে আরও তৎপর হতে বলা হয়। মাঝ পথে মেট্রো থমকে গেলে কী ভাবে যাত্রীদের দ্রুত কামরা থেকে বার করা সম্ভব, তা নিয়ে বছরে একাধিক বার মহড়া চলে। যদিও সে কাজে আরও গতি আনতে চান কর্তৃপক্ষ। এসি মেট্রোর কামরাগুলিতে ব্লোয়ার থাকে। যাতে মেট্রো বিকল হলেও যাত্রীদের শ্বাসকষ্ট না হয়। এ দিন ওই ব্লোয়ারগুলির রক্ষণাবেক্ষণে জোর দিয়েছেন মেট্রোর জি এম। এসি এবং নন এসি রেকের কামরায় যাতে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে আলো জ্বলে তা নিশ্চিত করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সু়ড়ঙ্গের বাইরে মেট্রো বিকল হলে, লাইনের পাশের কংক্রিটের রাস্তা ধরে যাত্রীরা দ্রুত বেরিয়ে আসতে পারেন। মেট্রো সূত্রের খবর, সে জন্য ওই কংক্রিটের পথ সারানো হবে। লাইনের ধারের গাছের ডাল নিয়মিত ছাঁটার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে দু’পাশে দেওয়াল তোলারও কথাও বলা হয়েছে।
মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আপৎকালীন পরিস্থিতি দক্ষতার সঙ্গে সামালানোর জন্য এই বিশেষ পরিকল্পনা করা হয়েছে।”