কলকাতা পুরভবন লাগোয়া ফুটনানি চেম্বার পুরসভার সম্পত্তি। তবে তা ৯৯ বছর ধরে অন্য এক সংস্থার হাতে লিজে ছিল। ২০০৯ সালে সেই চুক্তি শেষ হলেও নিজেদের সাব লিজ হোল্ডার দাবি করে আর একটি সংস্থা তা দখলে রেখেছিল। অবশেষে আদালতের রায়ে চলতি
মাসের শুরুতেই ফুটনানি চেম্বারের চাবি হাতে পেল পুর প্রশাসন। প্রায় ৫ বিঘা জমির উপরে থাকা ওই সম্পত্তির বর্তমানে মূল্য আনুমানিক ২০০ কোটি টাকা বলে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে। সেই সম্পত্তি ফের পুরসভার অধীনে আসায় স্বস্তিতে পুরকর্তারাও। বর্তমানে ওই বিল্ডিংয়ে সরকারি ব্যাঙ্ক থেকে শুরু করে রেস্তরাঁ, দোকানপাট-সহ ১৪৪ জন ভাড়াটে রয়েছে।
পুরসভা সূত্রের খবর, ১৯১০-১১ সালে হিন্দুস্তান কোম্পানি ইনশিওরেন্স নামে একটি সংস্থাকে বিল্ডিংটি ৯৯ বছরের জন্য লিজে দেন তৎকালীন পুর কর্তৃপক্ষ। যার মেয়াদ শেষ হয় ২০০৯ সালে। তবে তার পরেও অন্য একটি সংস্থা ফুটনানি চেম্বার নিজেদের অধীনে রয়েছে বলে পুর প্রশাসনকে জানিয়ে দেয়। মালিকানার দাবি জানিয়ে পুরসভাও জোর সওয়াল চালায়। গত ৯ বছর ধরে ওই টালবাহানা গড়ায় আদালত পর্যন্ত। পুর প্রশাসন ভাড়াটেদের নোটিস দিয়ে জানিয়ে দেয়, বিল্ডিংয়ের মালিক পুরসভা। তাই ভাড়া পুরসভায় জমা দিতে হবে।
বাজার দফতরের এক আধিকারিক জানান, গত ৩০ এপ্রিল সাব লিজ হোল্ডার বলে নিজেদের দাবি করা সংস্থা চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেন তাঁরা ওই বিল্ডিং ছেড়ে দেবেন। সেই মতো ৪মে পুরসভার হাতে বিল্ডিংয়ের চাবি তুলেও দেন। সে দিনই ছিল মেয়র পরিষদের বৈঠক। মেয়র ও মেয়র পারিষদদের সামনে বিষয়টি তোলা হয়। ওই বিল্ডিং কি পুরসভার বাজার দফতরের অধীনে থাকবে? ওখানে যাঁরা ভাড়ায় আছেন, তাঁরা কী আগের ভাড়ায় থাকবেন, না ভাড়া বাড়ানো হবে?— এ সব নিয়ে পরে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানা গিয়েছে।
এ দিকে পুরসভা সূত্রের খবর, লিজের মেয়াদ শেষের পরে বছর খানেক আগে ফুটনানি চেম্বারে থাকা দোকানগুলির ভাড়ার পরিমাণ বাজার দফতরের হিসেবে করা হয়। বসতির জন্য যা ভাড়া ছিল তাই রাখার কথা বলা হয়েছিল। যা বর্তমান হিসেবের তুলনায় কম। এখন সেই ভাড়াই থাকবে, না বাড়ানো হবে তা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন পুরবোর্ডের একাধিক কর্তা।