Kolkata News

শুধ বজবজ নয়, অন্যান্য ভাগাড় থেকেও আসত মাংস

দোকানগুলি থেকে তাঁরা রান্না করা খাবার এবং কাঁচা মাছ-মাংসের নমুনাও সংগ্রহ করেন। শুক্রবারও শিয়ালদহ চত্বরের একটি রেস্তঁরায় হানা দেন পুরকর্মীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০১৮ ১৪:০০
Share:

বাজার থেকে কাঁচা ও রান্না করা মাংসের নমুনা সংগ্রহ করছে পুরকর্মীরা। নিজস্ব চিত্র।

শুধু বজবজ নয়, বেহালা সংলগ্ন একাধিক ভাগাড় থেকেও মৃত পশুর মাংস পাচার করা হত কলকাতার বিভিন্ন প্রাণ্তে। ধৃত বজবজ পুরসভার কর্মী রাজা মল্লিক পুলিশি জেরায় জানিয়েছে, বেহালা সংলগ্ন আরও কয়েকটি ভাগাড় থেকেও একই ভাবে মৃত পশুর মাংস সংগ্রহ করা হত। সেখান থেকে শিয়ালদহের পাইকারি মাংস বিক্রেতার কাছে তা টাটকা মাংসের সঙ্গে মেশানো হত। তদন্তকারীরা ইতিমধ্যেই সেই পাইকারি বিক্রেতাকে চিহ্নিত করেছে। কিন্তু, এই ঘটনার পর থেকে সে ফেরার। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পুলিশ একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেছে। তাঁদের সন্দেহ, এই চক্রে আরও অনেকে আছে। তাদের খোঁজে দক্ষিণ শহরতলির একাধিক জায়গায় হানা দিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

বজবজের ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে কলকাতা পুরসভা। শুক্রবারের পর আজ শনিবারও পুরসভার পক্ষ থেকে তল্লাশি অভিযান চালানো হয় শিয়ালদহ এলাকার একাধিক দোকানে। ফুটপাথের বেশ কিছু খাবারের দোকানের পাশাপাশি পুরকর্মীরা তল্লাশি চালান বাজারেও। দোকানগুলি থেকে তাঁরা রান্না করা খাবার এবং কাঁচা মাছ-মাংসের নমুনাও সংগ্রহ করেন। শুক্রবারও শিয়ালদহ চত্বরের একটি রেস্তঁরায় হানা দেন পুরকর্মীরা। প্রতিটা খাবারের মান পরীক্ষা করে দেখবে পুরসভা।

শিয়ালদহ এলাকা নিয়ে বেশি চিন্তিত পুরকর্মীরা। কারণ বজবজের ভাগাড় থেকে মৃত পশুর মাংস পাচারকারীদের জেরা করে জানা গিয়েছে যে, তাঁরা শিয়ালদহ এলাকাতে কোনও মাংস বিক্রেতাকে মরা পশুর মাংস সরবরাহ করতেন। সেখানেই টাটকা মাংসর সঙ্গে মেশানো হত ওই মৃত পশুর মাংস।

Advertisement

শনিবারের তল্লাশির সময় এক পুরকর্মী বলেন, “শিয়ালদহ চত্বরে যে হেতু প্রচুর পরিমাণে ছোট খবারের দোকান আছে, তাই আমরা এই এলাকাটা প্রাথমিক ভাবে খুঁটিয়ে দেখছি। শহরের অন্যান্য প্রান্তেও এ রকম পুর হানা চালানো হবে।”

আরও পড়ুন: প্রশাসনের নজরদারির করুণ দশা, মৃত পশুর মাংস কিনত কসাইখানাও

আরও পড়ুন: মৃত পশুর সৎকার নিয়ে নির্দেশ

অন্য দিকে, বজবজে ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে গোটা চক্রের পাণ্ডাকে পাকড়াও করার চেষ্টা চালাচ্ছে বজবজ থানার পুলিস।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন