গান ও কবিতার ছন্দে জীবনের গতি ধরে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কঠিন পরিস্থিতিতেও ইচ্ছে শক্তিতে ভর দিয়েই পেরিয়ে যাওয়া যায়, সেটা তুলে ধরতেই মঞ্চে উপস্থিত হয়েছিলেন ওঁরা। সঙ্গে ছিলেন চিকিৎসক এবং থেরাপিস্টরাও।
পার্কিনসন্সে আক্রান্ত রোগীদের নিয়ে রবিবার একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল এক সংস্থা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত স্নায়ুরোগ চিকিৎসকেরা জানান, স্নায়ুর এই সমস্যার জেরে স্মৃতিশক্তি কমতে থাকে। পাশাপাশি প্রতিদিনের কাজ করার ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলেন রোগীরা। প্রয়োজনীয় ফিজিয়োথেরাপির মাধ্যমে সেই ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা চালান রোগীরা। মস্তিষ্কের স্নায়ুর এই জটিল সমস্যায় তাই চিকিৎসার পাশাপাশি জরুরি রোগীর ‘ভাল থাকার’ চেষ্টা।
চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ধারাবাহিক ভাবে থেরাপি চালিয়ে গেলে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়া সম্ভব। কিন্তু রোগী বা পরিজনেরা অধিকাংশ সময়েই চিকিৎসা মাঝপথে থামিয়ে দেন। যার জেরে রোগীর স্বাভাবিক জীবনযাপন করা কঠিন হয়ে যায়।
এ দিনের অনুষ্ঠানে রোগ সম্পর্কে সচেতনতার পাশাপাশি ছিল রোগীদের নাচ-গান-আবৃত্তির অনুষ্ঠান। এপ্রিল মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ বিশ্বে পার্কিনসন্স রোগের সচেতনতা প্রসার সপ্তাহ হিসাবে পালন করা হয়। সেই উপলক্ষে ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্স কলকাতা (আইএনকে) এবং পার্কিনসন্স সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সোসাইটির সম্পাদক মিত্রা সেন মজুমদার বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন ধরেই রোগীদের নাচ, গল্প বলার থেরাপি চলছে। ওঁদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে এই থেরাপি খুব সাহায্য করছে। সকলের সামনে নিজেকে তুলে ধরতে পারলে ওঁদের মানসিক জোর বাড়বে।’’