অভিযুক্তকে ধরল ‘ডেলিভারি বয়’

এ ভাবেই পিৎজা প্রস্তুতকারক সংস্থার ডেলিভারি বয় সেজে পুলিশকর্মীরা একাধিক চুরির ঘটনায় অভিযুক্ত ওই যুবককে ধরেন। ধৃতের নাম দীপক কুমার হালদার ওরফে অন্ধকার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০১৮ ০৩:১৬
Share:

বাড়িতে পিৎজা পৌঁছে দিতে এক যুবককে ফোন করেছিলেন ডেলিভারি বয়। জানতে চেয়েছিলেন, ওই ঠিকানায় তিনি থাকেন কি না। যুবক জানান, ঠিকানাটি তাঁর নয় এবং তিনি কোনও পিৎজা অর্ডার করেননি। যদিও ওই যুবক নিজের বাড়ির ঠিকানা জানিয়ে দিয়েছিলেন ডেলিভারি বয়কে। কিছু ক্ষণের মধ্যে সেই ঠিকানায় চার সঙ্গী নিয়ে হাজির সেই ডেলিভারি বয়। তার পরে ওই যুবককে গাড়িতে চাপিয়ে থানার উদ্দেশে রওনা দেয় তারা।

Advertisement

এ ভাবেই পিৎজা প্রস্তুতকারক সংস্থার ডেলিভারি বয় সেজে পুলিশকর্মীরা একাধিক চুরির ঘটনায় অভিযুক্ত ওই যুবককে ধরেন। ধৃতের নাম দীপক কুমার হালদার ওরফে অন্ধকার। হরিদেবপুর থানার সোদপুরে তার বাড়ি, সেখান থেকেই মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশ তাকে ধরে। তদন্তকারীদের দাবি, রাত পর্যন্ত দীপককে নিয়ে তল্লাশি চালিয়ে সোনারপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে চক্রের আর এক সদস্য অসীম অধিকারীকে। কিনারা হয়েছে হরিদেবপুর থানার সোদপুর এলাকার একাধিক চুরির। বুধবার পর্যন্ত ধৃতেরা তিনটি চুরির ঘটনা স্বীকারও করেছে।

তদন্তকারীরা জানান, ধৃতদের জেরা করে উদ্ধার হয়েছে চুরি যাওয়া আটটি মোবাইল-সহ লক্ষাধিক টাকার সোনার গয়না। দুই ধৃতকে বুধবার আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

Advertisement

লালবাজার সূত্রে খবর, মার্চে সোদপুরের তিনটি বাড়ি থেকে একই কায়দায় চুরি হয়। তদন্তকারীদের ধারণা হয়েছিল, স্থানীয় কোনও দুষ্কৃতী ওই ঘটনায় যুক্ত। কলকাতা পুলিশের দক্ষিণ-পশ্চিম ডিভিশনের ডেপুটি কমিশনার নীলাঞ্জন বিশ্বাস জানান, পরপর চুরির কিনারা করতে হরিদেবপুর থানার ওসি দেবাশিস চক্রবর্তীর নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়। তাদের সহায়তা করে ওই ডিভিশনের মনিটরিং সেল।

তদন্তে নেমে বিশেষ দল জানতে পারে চুরি যাওয়া মোবাইলটি এক বার ব্যবহার করা হয়েছে। তার পর থেকে তা বন্ধ। ওই সূত্র ধরেই তদন্তকারীরা দুষ্কৃতীদের অন্য নম্বরের সন্ধান পান। তাতেও প্রথমে সুরাহা করতে পারেননি তদন্তকারীরা। এক পুলিশকর্তার দাবি, এর পরেই একটি বহুজাতিক পিৎজা প্রস্তুতকারক সংস্থার ডেলিভারি বয় সাজে পুলিশ। তদন্তে পাওয়া নম্বরে ফোন করেই দীপকের খোঁজ পান ‘ডেলিভারি বয়’-এর দল।

পুলিশের দাবি, জেরায় জানা গিয়েছে, দীপক আগে ট্যাক্সি চালাত। সেই সূত্রেই আলাপ অসীমের সঙ্গে। দু’জনে মিলেই চুরির পরিকল্পনা করে। দুপুরে এলাকায় ঘুড়ে বেড়াত দীপক। দেখত, কোন বাড়িতে ঢোকা সহজ। এর পরেই রাতে অপারেশন চালাত অন্ধকার ও তার সঙ্গী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন