অঘটন: হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দীপকবাবুকে। শনিবার, সল্টলেকের কলেজ মোড়ে। নিজস্ব চিত্র
ডান পা বাদ দিতেই হল সল্টলেকের কলেজ মোড়ে দুর্ঘটনাগ্রস্ত প্রৌঢ়ের। পরিবার সূত্রের খবর, বছর পঞ্চান্নের দীপক ভার্ভোদার বাঁ পায়ের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। দীপকবাবুর এই অবস্থার জন্য রবিবার সরকারি বাসের চালককে দায়ী করলেন পরিজনেরা।
বিধাননগর ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রে শনিবার জানানো হয়েছিল, সল্টলেকের কলেজ মোড়ে হাওড়া-নিউ টাউন রুটের একটি সরকারি বাস থেকে নামার সময়ে ওই প্রৌঢ় রাস্তায় পড়ে যান। বাস না থামায় দীপকবাবুর দু’টি পা বাসের পিছনের চাকায় পিষে যায়। যদিও তাঁর পরিজনেদের দাবি, বাস থেকে নামার সময়ে দুর্ঘটনা ঘটেনি। বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ কলেজ মোড়ে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস থেকে নেমে দীপকবাবু বাঁ দিকের রাস্তা ধরে গন্তব্যের দিকে যাচ্ছিলেন। যে সরকারি বাস থেকে তিনি নামেন, সেটিও বাঁ দিকেই ঘোরে। সেই সময়েই পিছন থেকে ওই বাসের ধাক্কায় প্রৌঢ় রাস্তায় পড়ে গেলে সামনের চাকা তাঁর দু’টি পায়ের উপর দিয়ে চলে যায়। প্রৌঢ়ের এক নিকটাত্মীয় বলেন, ‘‘ডান পা বাদ দিতে হল। বাঁ পায়ের পাতা পুরোপুরি নষ্ট। গোড়ালি অক্ষত আছে। চিকিৎসকেরা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন ওই পা বাঁচাতে। চালকের ভুলেই এই অবস্থা।’’ প্রৌঢ়় কিছুটা সুস্থ হলে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হবে বলে জানিয়েছেন তাঁর পরিজনেরা।
দীপকবাবুর এক আত্মীয় জানান, যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতেই ফোনে প্রৌঢ় বলেছিলেন, ‘‘আমার পা কেটে গিয়েছে।’’ চিকিৎসার জন্য তাঁকে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে শুনে কালীঘাটের বাড়ি থেকে রওনা হন ওই আত্মীয়। এরই মধ্যে ফোন করে বেলেঘাটার এক বন্ধুকে বিধাননগর হাসপাতালে যেতে বলেন তিনি। বিধাননগর মহকুমা হাসপাতাল থেকে এনআরএসে স্থানান্তরের কথা বলা হলেও, মাঝপথে সল্টলেকেরই বেসরকারি হাসপাতালে দীপককে ভর্তি করেন পরিজনেরা। অন্য এক আত্মীয় জানান, রক্তক্ষরণের ফলে তাঁর হিমোগ্লোবিন চারে নেমে গিয়েছিল। সে জন্য দ্রুত সল্টলেকের ওই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরিবার সূত্রে খবর, ডান পা বাদ পড়লেও মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েননি প্রৌঢ়। পরিবারের এক সদস্য জানান, দীপকবাবুর বক্তব্য হল, যা হওয়ার হয়েছে। হা-হুতাশ করে লাভ নেই। এই পরিস্থিতি থেকেই লড়াই করে ফিরবেন তিনি।