প্রতারণায় গ্রেফতার সিঁথির তৃণমূল নেতা

সিঁথির কেদারনাথ দাস লেনের একটি বাড়িতে প্রোমোটিং নিয়ে এলাকার তৃণমূল নেতা ইমন বসুর সঙ্গে ওই বাড়ির শরিকদের গোলমাল চলছিল গত কয়েক মাস ধরে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০১৮ ০৩:১৫
Share:

ইমন বসু

প্রতারণা ও তোলাবাজির অভিযোগে সিঁথি এলাকার তৃণমূল নেতা ইমন বসুকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে সিঁথি থেকে গ্রেফতার করে লালবাজারে নিয়ে আসা হয় তাঁকে। বুধবার ইমনকে আদালতে তোলা হলে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

Advertisement

সিঁথির কেদারনাথ দাস লেনের একটি বাড়িতে প্রোমোটিং নিয়ে এলাকার তৃণমূল নেতা ইমন বসুর সঙ্গে ওই বাড়ির শরিকদের গোলমাল চলছিল গত কয়েক মাস ধরে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কেদারনাথ দাস লেনের ওই বাড়িটি শরিকি সম্পত্তি। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে শরিকেরা সর্বসম্মত ভাবে অরুণ ঘোষ নামে এক প্রোমোটারকে বাড়িটি ফ্ল্যাট তৈরির জন্য দেন। অভিযোগ, বাড়ি ভাঙার কাজ প্রায় ৭০ শতাংশ হয়ে যাওয়ার পরে গত ২২ ফেব্রুয়ারি রাতে ইমন ও তাঁর স্ত্রী নেহা এক মহিলাকে ওই বাড়িতে জোর করে ঢুকিয়ে দেন। ইমনের বক্তব্য ছিল, অঞ্জনা বিশ্বাস নামে ওই মহিলা গত দু’বছর ধরে ওই বাড়িতে ভাড়া ছিলেন। তাঁকে উচ্ছেদ করে বাড়ি ভাঙার কাজ চলছে।

ওই বাড়ির শরিকদের মধ্যে দিলীপ ঘোষ ও তাঁর স্ত্রী রূপালি ঘোষ ভাড়াটে হিসেবে অঞ্জনা বিশ্বাসের প্রমাণপত্র দেখতে চান। অভিযোগ, তখন ইমন তাঁর দলবল নিয়ে ৬৭ বছরের রূপালিদেবীর উপরে চড়াও হন। তাঁকে কিল-চড়-ঘুসি মারা হয়। ইমনের বিরুদ্ধে সিঁথি থানায় শ্লীলতাহানির অভিযোগও দায়ের করেন রূপালিদেবী। তার পরেই ইমন বেপাত্তা হয়ে যান। পরে আদালত থেকে জামিন নিয়ে ফিরে আসেন।

Advertisement

দিন সাতেক আগে দিলীপবাবুরা ইমনের বিরুদ্ধে নতুন করে প্রতারণার অভিযোগ আনেন। তাঁদের দাবি, বছরখানেক আগে ওই এলাকায় তাঁদের অন্য একটি বাড়ির প্রোমোটিং নিয়ে ইমনের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু সেই কাজ শুরুই করতে পারেননি ইমন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই ইমনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement