calcutta News

শৌচাগার ভাঙতে বাধা, মারধর ভাড়াটেকে

পুলিশ জানায়, ১৭/২ মুরারিপুকুর রোডের বাড়ির দখল নিয়ে প্রোমোটারের সঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা চলছে এক ভাড়াটের। বাড়িটির যে শৌচাগার ভাড়াটেরা ব্যবহার করেন, রবিবার সেটি ভাঙতে গিয়েই গোলমালের সূত্রপাত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০১৮ ০১:৫২
Share:

ভাঙা শৌচাগারের সামনে মিঠু সাহা। —নিজস্ব চিত্র

বাড়ির দখল নিয়ে মামলা চলছে আদালতে। তার মধ্যেই ওই বাড়ির এক ভাড়াটের শৌচাগার ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠল প্রোমোটারের বিরুদ্ধে। তাঁদের মারধর করা হয়েছে বলেও থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন ওই ভাড়াটে। পুলিশ ওই বাড়ির কাজ বন্ধ রাখতে বলেছে প্রোমোটারকে।

Advertisement

পুলিশ জানায়, ১৭/২ মুরারিপুকুর রোডের বাড়ির দখল নিয়ে প্রোমোটারের সঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা চলছে এক ভাড়াটের। বাড়িটির যে শৌচাগার ভাড়াটেরা ব্যবহার করেন, রবিবার সেটি ভাঙতে গিয়েই গোলমালের সূত্রপাত। ভাড়াটে মিঠু সাহার অভিযোগ, শৌচাগার ভাঙতে বাধা দেওয়ায় প্রোমোটারের লোকজন তাঁর উপরে হামলা চালান। পুলিশের কাছে মিঠু জানিয়েছেন, প্রোমোটারের লোকজন তাঁর স্বামী শম্ভু এবং ছেলে রোহনকেও মারধর করেন।

মিঠুর অভিযোগ, ‘‘এ দিন সকালে প্রায় ২০০ লোক এসে আমাদের শৌচাগার ভাঙতে শুরু করেন। বাধা দিলে আমায় চুলের মুঠি ধরে মারেন। কিল-চড় মেরে মাটিতে ফেলে দেন। ওঁরা আমার স্বামী আর ছেলেকেও মারধর করেছেন।’’

Advertisement

ওই মহিলা বলেন, ‘‘সাত বছর আগে এই বাড়ি প্রোমোটিং করা হবে বলে শুনেছিলাম। আমি ৩০০ বর্গফুটের বেশি জায়গা নিয়ে থাকি। তার বদলে প্রোমোটার আমাকে মাত্র ১৫৬ বর্গফুট জায়গা দিচ্ছেন। আমি রাজি হইনি। আদালতের দ্বারস্থ হই।’’ পুলিশ জানায়, ভাড়াটে যে অংশে থাকেন সেই অংশের কাজ বন্ধ রাখতে বলেছিল শিয়ালদহ আদালত। প্রোমোটার সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে মামলা করেছেন।

যদিও প্রোমোটার গৌতম চৌধুরী বলেন, ‘‘আদালতের নির্দেশ মেনেই আমরা আমাদের জমিতে পাঁচিল দিতে গিয়েছিলাম। ভাড়াটে মহিলা গালিগালাজ করেছেন।’’ গৌতমের দাবি, পাঁচিল তুলতে যাওয়া কর্মীরা কাউকেই নিগ্রহ করেননি।

পুলিশ সূত্রে বলা হয়েছে, ভাড়াটে-প্রোমোটারের বিরোধের বিষয়টি এই মুহূর্তে উচ্চ আদালতে বিচারাধীন। এমতাবস্থায় আর যাতে গোলমাল না হয়, সে জন্য প্রোমোটারকে ওই বাড়িতে কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন