নজরে: মাংস বিক্রেতার দোকান থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া মুরগি। সোমবার, বেনিয়াপুকুর থানায়।
মরা মুরগির মাংস বিক্রির অভিযোগে দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় বেনিয়াপুকুরে। মুরগি বিক্রেতা ও তাঁর সহকারীকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ গিয়ে দু’জনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন সকালে বেনিয়াপুকুর থানা এলাকার স্যর সৈয়দ আহমেদ রোডের ধারে মহম্মদ মুন্না নামে এক যুবক মুরগির মাংস বিক্রি করছিলেন। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, গোটা চারেক মরা মুরগি কেটে সেই মাংস বিক্রি করছিলেন মুন্না। সেই খবর রটতেই লোকজন এসে ঘিরে ধরেন ওই মাংস বিক্রেতাকে। আসেন স্থানীয় কাউন্সিলর তথা মেয়র পারিষদ (বাজার) আমিরুদ্দিন ববি। তিনিই বেনিয়াপুকুর থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে মুন্না ও তাঁর সহকারী মহম্মদ জুরমানকে আটক করে। ঘটনাস্থলে শ’খানেক জ্যান্ত মুরগি ও মাংস পাওয়া যায়। পুরসভার ফুড ইনস্পেক্টরেরা সেই মাংসের নমুনা নিয়ে যান।
স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ শামিমের অভিযোগ, ‘‘এর আগেও মুন্না মরা মুরগির মাংস বিক্রি করেছিল। ওকে সতর্ক করা সত্ত্বেও নিজেকে শোধরায়নি। আজ সকালে মরা মুরগি কাটতে দেখে আমরাই হাতেনাতে ধরি।’’ মুন্নার পাল্টা দাবি, ‘‘আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। গরমে দু’টি মুরগি মারা গিয়েছিল। সেগুলি আমি বিক্রেতার কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। বিক্রি করিনি।’’ কাউন্সিলরের কথায়, ‘‘দুই যুবক মরা মুরগির মাংস বিক্রি করছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা আমাকে জানান। আমি পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’’ তাঁর দাবি, ‘‘পুরসভা পরিচালিত বাজারে কোনও বিক্রেতা মরা মুরগির মাংস বিক্রি করলে লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত হবে।’’
লালবাজারের এক কর্তা বলেন, ‘‘মাংসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পুরসভার পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষার রিপোর্ট আসা পর্যন্ত আটকদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।’’ এ দিকে, বেনিয়াপুকুরেরই একটি রেস্তরাঁ থেকে মুরগির পচা মাংস বিক্রির অভিযোগ উঠল। সেই মাংস বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। পুর স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক জানান, পুরকর্মীরা ওই বাজেয়াপ্ত হওয়া মাংসের নমুনা তুলে এনেছেন। পুর ল্যাবরেটরিতে প্রাথমিক পরীক্ষার পরে তা পাঠানো হবে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের কাছে।