প্রতীকী ছবি।
সরকারি ফ্ল্যাট পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগে পুলিশের জালে দুই যুবক।
পুলিশ জানিয়েছে, গড়িয়াহাট থানার পুলিশ ওই দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে মঙ্গলবার রাতে। ধৃতদের নাম কৌশিক সেন এবং প্রণব হালদার ওরফে সন্তু মিত্র। ধৃতদের বুধবার আলিপুর আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাদের পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়। পুলিশের দাবি, প্রণব নিজেকে কলকাতা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্টের (কেআইটি) অফিসার সন্তু মিত্র বলে পরিচয় দিয়েছিল। ধৃত কৌশিকের বাড়ি থেকে কেআইটি-সহ বিভিন্ন সরকারি দফতরের সিলমোহর ও নথি বাজেয়াপ্ত করেছেন গোয়েন্দারা।
তদন্তকারীরা জানান, গড়িয়াহাটের বাসিন্দা ইন্দ্রজিৎ রায়ের সঙ্গে পরিচয় ছিল প্রতিবেশী কৌশিকের। গত বছরের শেষের দিকে কৌশিকের কাছ থেকে অভিযোগকারী জানতে পারেন, পাঁচ লক্ষ টাকায় মিলবে কেআইটি-র ফ্ল্যাট। তা-ও কলকাতায়। পুলিশের কাছে অভিযোগকারীর দাবি, প্রতিবেশী কলকাতায় ওই টাকায় ফ্ল্যাটের কথা বলার পরে তিনি রাজি হন। কৌশিক তাঁকে গরচার একটি অফিসে নিয়ে যায়। সেখানে প্রণবের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দেয়। প্রণব ওরফে সন্তু নিজেকে কেআইটি-র অফিসার বলে দাবি করে জানায়, ওই ফ্ল্যাট মার্চের মধ্যেই পাওয়া যাবে। এর জন্য তাঁর কাছ থেকে তারা পনেরো হাজার টাকা নেয় বলে অভিযোগ।
পুলিশ জানায়, ডিসেম্বরে টাকা দেওয়ার পরে দু’জনের ব্যবহার বদলে যায়। মার্চ মাসে ফ্ল্যাট হস্তান্তরের কথা থাকলেও দু’জনেই এড়িয়ে যেতে থাকেন অভিযোগকারীকে। পরে অভিযোগকারী কেআইটি-র অফিসে যোগাযোগ করে জানতে পারেন ওই ফ্ল্যাট বিক্রির কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এর পরেই তিনি মঙ্গলবার রাতে গড়িয়াহাট থানার দ্বারস্থ হন।
প্রাথমিক তদন্তের পরে তদন্তকারীরা জানান, ধৃতেরা শুধু ফ্ল্যাট পাইয়ে দেওয়ার নামেই নয়, পঞ্চায়েত-সহ বিভিন্ন সরকারি দফতরে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামেও প্রতারণা করেছেন। তবে বুধবার রাত পর্যন্ত ধৃতদের হাতে কত জন প্রতারিত হয়েছে, তা জানাতে পারেনি পুলিশ।