রোগী-মৃত্যু, বিক্ষোভ এম আর বাঙুরে

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে এ দিন বিক্ষোভ দেখান মৃত অমিত বিশ্বাসের (৩৫) পরিজন ও প্রতিবেশীরা। পরে টালিগঞ্জ থানাতেও অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০১৮ ০৩:১৫
Share:

ফাইল চিত্র।

চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে রোগী-মৃত্যুকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকালে উত্তেজনা ছ়ড়াল এম আর বাঙুর হাসপাতালে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে এ দিন বিক্ষোভ দেখান মৃত অমিত বিশ্বাসের (৩৫) পরিজন ও প্রতিবেশীরা। পরে টালিগঞ্জ থানাতেও অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রের খবর, পেশায় গাড়িচালক অমিত কালীঘাটের চন্দ্র মণ্ডল লেনের বাসিন্দা। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে অমিতের বাড়িতে স্ত্রী এবং দুই ছেলেমেয়ে আছেন। এ দিন ভোর ৫টার সময় হঠাৎই অমিতের বুকে ব্যথা শুরু হলে প্রতিবেশীরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, অমিতকে দেখার জন্য কোনও চিকিৎসককে হাসপাতালে পাওয়া যায়নি। বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও কোনও চিকিৎসক অমিতের চিকিৎসা করতে রাজি হননি। অমিতের ছেলে, অষ্টম শ্রেণির ছাত্র রোহিতের কথায়, ‘‘ইসিজি যেখানে করানো হয়, সেখানে অনেকক্ষণ বাইরে বসিয়ে রাখা হয় বাবাকে। কিন্তু কেউ বাবাকে দেখেনি!’’

এর কিছু পরে হাসপাতালের কয়েক জন কর্মী তাঁদের ইসিজি করাতে বলেন। কিন্তু ইসিজি যেখানে করানো হয়, সেই জায়গাটি তালা দেওয়া ছিল। দেবরাজ মণ্ডল নামে এক প্রতিবেশী বলেন, ‘‘কিছু পরে এক জন কর্মী তালা খুলে ঢুকলেন। কিছু ক্ষণ পরে বেরিয়ে এসে বললেন, এখন ইসিজি করানো হবে না! স্লিপ করানো হলেও ইসিজি আর করানো হল না!’’ এর কিছু পরেই, সকাল পৌনে ৭টা নাগাদ মারা যান অমিত। তাঁর বন্ধু চন্দন দত্তের অভিযোগ, ‘‘অক্সিজেন দিল না কেউ। যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে ছেলেটা মারা গেল।’’

Advertisement

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কিছু বলতে চাননি। হাসপাতাল সুপার তাপসকুমার ঘোষ প্রশ্ন শুনে ফোন কেটে দেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন