প্রতীকী ছবি।
প্রেমে বাধা পেয়ে বাংলা নববর্ষে ধুন্ধুমার বাধালেন প্রেমিক! অভিযোগ, নিজের পাড়া থেকে লোক ডেকে এনে রবিবার দুপুরে পাশের পাড়ার ক্লাবে ভাঙচুর চালিয়েছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে দু’জনকে মারধর করার অভিযোগও দায়ের হয়েছে। তবে ট্যাংরা থানা এলাকার এই ঘটনায় এ দিন রাত পর্যন্ত ওই প্রেমিক বা তাঁর পাড়ার কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এমনকী, অভিযোগকারীরাও ওই প্রেমিকের নাম জানাতে পারেননি পুলিশকে।
ট্যাংরা থানা সূত্রের খবর, এ দিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ তাঁরা খবর পান অটল শূর রোডের একটি ক্লাবে হামলা হয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশকর্মীরা দেখেন, সেই ক্লাবের হওয়ার পাশাপাশি আশপাশে কয়েকটি বাড়িতেও ভাঙচুর হয়েছে। ক্লাবের মেঝেতে পড়ে রবীন্দ্রনাথের ছবি থেকে নানা জিনিসপত্র। ক্লাবের সদস্যেরা পুলিশে অভিযোগ করেন, দুপুরে নতুনপাড়ার বাসিন্দা এক যুগল ক্লাব লাগোয়া রোয়াকে আপত্তিজনক অবস্থায় বসে ছিলেন। তাঁদের সেখান থেকে চলে যেতে বলা হলে যুবকটি শাসাতে শুরু করেন তাঁদের। এমনকী, কোমরের বেল্ট খুলে তিনি ক্লাবের দুই সদস্যকে মারধরও করেছেন বলে অভিযোগ।
এর পরে নিজের পাড়া থেকে আরও কয়েক জন যুবককে ডেকে এনে অটল শূর রোডে ওই প্রেমিক হামলা চালান বলে অভিযোগ ক্লাবের সদস্যদের। বাবু হালদার নামে এক ক্লাব সদস্য বলেন, ‘‘ওই ছেলে আর মেয়েটি খারাপ ভাবে বসেছিল। আমরা বারণ করেছি বলে পাড়া থেকে লোক ডেকে এনেছে। ক্লাবে ইট-পাথর ছুড়ে সব ভেঙে দিয়েছে। পাশের বাড়িতেও হামলা করেছে।’’ ওই বাড়ির বাসিন্দা পার্বতী রজক বলেন, ‘‘দুপুরে সবে খেতে বসেছি। শুনি প্রচণ্ড চিৎকার হচ্ছে। বাইরে গিয়ে দেখি বেপাড়ার ছেলেরা হাতে ইট নিয়ে ছুটে আসছে। আমাদের বাড়িতেও ইট মেরেছে। ছোট বাচ্চা রয়েছে বাড়িতে, ওর গায়ে লাগলে যে কী হত!’’ ওই ক্লাবের সদস্যেরা লিখিত অভিযোগ জানালেও হামলায় অভিযুক্তদের কারও নাম জানাতে পারেননি।
এ দিন নতুনপাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, মোড়ে মোড়ে জটলা। তবে কোন বাড়ির ছেলে-মেয়ের সঙ্গে এ দিন ঝামেলা লেগেছিল, তা দেখিয়ে দিতে কেউই রাজি নন। এক তরুণ বলেন, ‘‘আমাদের পাড়ার মেয়ে আর দাদা প্রেম করছিল। বারণ করার ওরা কে? যা হওয়ার বেশ হয়েছে।’’ ট্যাংরা থানার এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। কিন্তু কারও নামই তো বলতে পারছেন না ওঁরা। কাকে ধরব! খোঁজ করছি। দেখি কী বেরোয়।’’
নববর্ষে প্রেমের জন্য এমন কাণ্ড শুনে হাসছেন পুলিশ আধিকারিকেরাও।