এক মহিলার মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার করা হল তাঁর স্বামীকে। মঙ্গলবার, রাজারহাটের কাদাগ্রামের ঘটনা। ধৃতের নাম ভাস্কর মণ্ডল।
রাজারহাট থানার পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার অনেক রাতে মিনাখাঁ পুলিশ মারফত রাজারহাট থানার পুলিশ খবর পায় কাদাগ্রামে একটি বাড়িতে এক মহিলার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ দেখে, ঘরের মেঝেতে শোয়া অবস্থায় রয়েছেন মহিলা। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। মৃতার নাম বীথিকা মণ্ডল (২২)। অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
তদন্ত শুরু করতে গিয়েই বেশ কিছু অসঙ্গতি নজরে পড়ে পুলিশের। পাশাপাশি মৃতার গলায় কিছু চিহ্ন দেখতে পায় পুলিশ। ফলে মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা বাড়ে। মৃতার স্বামী ভাস্করকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, ওই রাতে ১টা ০৫ মিনিট নাগাদ ঘুম ভাঙলে তিনি তাঁর স্ত্রীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন। এর পরে তিনি আত্মীয়দের ঘটনাটি জানান। ঘটনার কথা কাদাগ্রামে ছড়িয়ে পড়ে। সেই সূত্র ধরে মিনাখাঁয় বীথিকার বাড়িতেও খবর যায়। তাঁরাই মিনাখাঁ থানায় খবর দেন।
কিন্তু পুলিশ জানায়, তদন্তকারীরা গিয়ে বীথিকাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়নি। পুলিশ সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদে ভাস্কর জানিয়েছেন, তিনি বীথিকাকে উদ্ধার করেছিলেন। সেখানেই সন্দেহ তৈরি হয় পুলিশের।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, ওই ঘরে মঙ্গলবার রাতে ভাস্কর ও বীথিকার পরিচিতেরা মিলে খাওয়াদাওয়া করছিলেন। সেই পর্ব মিটে গেলে বহিরাগতেরা ঘর থেকে বেরিয়ে যান। সেই সূত্র ধরে তদন্ত করতে গিয়ে সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়। এর পরে রাতে দফায় দফায় ভাস্করকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। পুলিশ জানায়, ভাস্করের বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়ায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, কয়েক বছর আগে প্রথম পক্ষের স্ত্রীর মৃত্যুর পরে ভাস্কর বিয়ে করেন বীথিকাকে। এই ঘটনায় ভাস্করের আত্মীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, গলা টিপে খুন করা হয়েছে বীথিকাকে। তবে ময়না-তদন্তের পরেই মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত ভাবে বলা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি, মঙ্গলবার রাতে কারা ভাস্করের ঘরে খাওয়াদাওয়া করেছিলেন, তাঁদের বিষয়েও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।