ঘুড়িতে চোখ, ছাদ থেকে পড়ে মৃত তরুণ

পুলিশ সূত্রের খবর, সোমবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ মিঠাতলায় নিজের বাড়ির কাছেই ওই বাড়িতে ঘুড়ি ওড়াতে গিয়েছিলেন সাহিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০১৮ ০২:৩৯
Share:

শোকার্ত পরিজনেরা। (ইনসেটে) মহম্মদ সাহিল। সোমবার। নিজস্ব চিত্র

চারতলার ছাদে কোনও পাঁচিল ছিল না। সেখানেই ঘুড়ি ওড়াতে গিয়ে পা হড়কে নীচে পড়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। সোমবার বিকেলে বন্দর এলাকার রাজাবাগান থানার মিঠাতলায় এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মহম্মদ সাহিল (২১)। মৃতের বাবা ওই বাড়ির বাসিন্দা চার যুবকের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, সোমবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ মিঠাতলায় নিজের বাড়ির কাছেই ওই বাড়িতে ঘুড়ি ওড়াতে গিয়েছিলেন সাহিল।
ঘুড়ি ওড়াতে গিয়ে সাহিল ছাদের একেবারে ধারে চলে যান এবং নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নীচে পড়ে যান। আওয়াজ পেয়ে আশপাশের বাসিন্দারা ঘটনাস্থলে ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকেরা সাহিলকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ দিকে, সোমবার বিকেলে এই ঘটনার পরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মঙ্গলবার সকালে সাহিলের বাবা মহম্মদ আশরাফ রাজাবাগান থানায় লিখিত অভিযোগে জানান, মহম্মদ আশু, মহম্মদ লালে, মহম্মদ গুড্ডা এবং মহম্মদ আফরোজ নামে চার যুবক তাঁর ছেলেকে ছাদ থেকে ঠেলে নীচে ফেলে দিয়েছে। বাবার অভিযোগ পেয়ে রাজাবাগান থানার পুলিশ ওই চার জনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। এ দিন ঘটনাস্থলে এসে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন ফরেন্সিক ও হোমিসাইড বিভাগের আধিকারিকেরা। সাহিলের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল, বারবার জ্ঞান হারাচ্ছেন তাঁর বাবা ও মা। মহম্মদ আশরাফের তিন ছেলে ও দুই মেয়ে। সবার বড় সাহিল। বাড়িতে বাবার সঙ্গে দর্জির কাজও করতেন তিনি। এ দিন আশরাফ বলেন, ‘‘পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ছিল সাহিল। দিনরাত পরিশ্রম করে সংসার চালাত। ওকে খুনই করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।’’

Advertisement

সাহিলের এক আত্মীয়ের অভিযোগ, ‘‘দিন কয়েক আগে এলাকারই বাসিন্দা আশু, লালে, গুড্ডা এবং আফরোজ সাহিলের থেকে একটি দামি মোবাইল কেনে। সোমবার ওই টাকা দেবে বলে ওরা সাহিলকে পাশের বাড়ির ছাদে ডেকে নিয়ে যায়।’’ তাঁর অভিযোগ, সেই টাকা মেটানো সংক্রান্ত ঝামেলার জেরেই সাহিল খুন হয়ে থাকতে পারেন।

সোমবার স্থানীয়েরা রাজাবাগান থানায় তদন্তের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান। ডি সি (বন্দর) ওয়াকার রেজা বলেন, ‘‘প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই যুবক ছাদে ঘুড়ি ওড়াচ্ছিলেন। সেখানে পাঁচিল না থাকায় তিনি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নীচে পড়ে মারা যান। মৃতের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছি। সব কিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন