Hoardings

Hoarding: বিপজ্জনক হোর্ডিং খুলতে তালিকা পুলিশের

ঝড়বৃষ্টিতে গাছ উপড়ে বা বিপজ্জনক বাড়ি ধসে শহরে বিপদ ঘটেছে বহু বার। বিপজ্জনক বাড়ির মতোই শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিপজ্জনক হোর্ডিং মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পুলিশের।

Advertisement

শিবাজী দে সরকার

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০২১ ০৮:১৬
Share:

ফাইল চিত্র।

ঝড়বৃষ্টিতে গাছ উপড়ে বা বিপজ্জনক বাড়ি ধসে শহরে বিপদ ঘটেছে বহু বার। বিপজ্জনক বাড়ির মতোই শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিপজ্জনক হোর্ডিং মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পুলিশের। তাই শহরের বিপজ্জনক ৬৩টি হোর্ডিং খুলে ফেলার জন্য তার একটি তালিকা তৈরি করে কলকাতা পুরসভাকে দিয়েছে লালবাজার। গত বুধবার কলকাতা পুলিশের ডিসি (ট্র্যাফিক)-এর তরফে ওই বিস্তারিত তালিকা কলকাতা পুর কমিশনারের কাছে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

কলকাতা পুলিশ সূত্রের খবর, গত ২৮ জুলাই ‘জেলা রোড সেফটি কমিটি’র বৈঠকে কলকাতার পুলিশ কমিশনার এবং ট্র্যাফিক পুলিশের কর্তারা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পুরসভা, কেএমডিএ, এইচআরবিসি, পরিবহণ দফতর, সিইএসসি-সহ ১০টি সংস্থার প্রতিনিধিরা। সেখানে পুলিশের তরফে ওই বিপজ্জনক হোর্ডিং নিয়ে তাদের আশঙ্কার কথা জানানো হয়। বলা হয়, শহরের বিভিন্ন রাস্তার ধারে বেশ কিছু হোর্ডিং জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে, যা যে কোনও সময়ে ভেঙে পড়ে দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। সূত্রের দাবি, এর পরেই পুরসভার তরফে বিপজ্জনক হোর্ডিংয়ের তালিকা চাওয়া হয়। কলকাতা পুলিশের বিভিন্ন ট্র্যাফিক গার্ড গত সপ্তাহে জরাজীর্ণ অবস্থায় থাকা বিপজ্জনক হোর্ডিংয়ের তালিকা লালবাজারে পাঠিয়ে দেয়। সেই তালিকাই পুরসভার কাছে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ জানায়, প্রতি বছরই শহরে এক-দু’বার প্রবল ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ছে। ঝড় আসার আগে ক্ষয়ক্ষতি ঠেকাতে ওই সমস্ত জীর্ণ হোর্ডিং খুলে ফেলার দিকে নজর দেওয়া হয় বটে, কিন্তু তার পরে অবস্থা আবার আগের মতো হয়ে দাঁড়ায়। ফলে শহরের বুকে বিপজ্জনক ভাবে ঝুলতেই থাকে হোর্ডিং।

Advertisement

ট্র্যাফিক পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘কম উচ্চতায়, জরাজীর্ণ, দীর্ঘ দিন অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে— এমন বেশ কিছু বিজ্ঞাপনী হোর্ডিংয়ের তালিকা তৈরি করে পাঠানো হয়েছে পুরসভাকে। আশা করা যায়, দ্রুত তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’’

পুলিশ সূত্রের খবর, ওই তালিকায় শহরের ৫৭টি জায়গার ৬৩টি হোর্ডিংকে বিপজ্জনক বলে চিহ্নিত করেছে ট্র্যাফিক পুলিশ। এর মধ্যে রবীন্দ্র সরণিতে বিপজ্জনক হোর্ডিংয়ের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ওই রাস্তায় ৮টি বিজ্ঞাপনী হোর্ডিং জরাজীর্ণ অথবা অব্যবহৃত অবস্থায় রয়েছে। এর পরেই রয়েছে বালিগঞ্জ সার্কুলার রোড এবং স্ট্র্যান্ড রোড। এ ছাড়া শহরের বেশ কিছু জায়গায় খুব কম উচ্চতাতেও কিছু হোর্ডিং রয়েছে, যা বিপদের কারণ হতে পারে বলে মনে করছে ট্র্যাফিক পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন