প্রতীকী ছবি।
চোখে যেন অন্ধকার দেখছিলেন বৃদ্ধা। ভিড়ে ছাড়াছাড়ি হয়ে গিয়েছে স্বামীর সঙ্গে। বাস থেকে নামতে গিয়ে চোট লেগেছে। বড়বাজার এলাকায় এমন আতান্তরে পড়েছিলেন শিলিগুড়ির বাসিন্দা ওই বৃদ্ধা। কিন্তু হারিয়ে যাননি তিনি। কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশ তাঁকে ফিরিয়ে দিল স্বামীর কাছে।
বুধবার রাতেই ওই বৃদ্ধ দম্পতিকে মিলিয়ে দিয়েছেন সার্জেন্ট সৌরভ দত্ত এবং কনস্টেবল সঞ্জয় মাহাতো। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি ফিরেছেন ওই দম্পতি। লালবাজার সূত্রের খবর, শিলিগুড়ির সুভাষপল্লির বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত রেলকর্মী দেবব্রত বাগচী (৬৫) স্ত্রী সুস্মিতা বাগচীকে (৬০) সঙ্গে নিয়ে কলকাতায় এসেছিলেন। বি আর সিংহ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য এসে শিয়ালদহের একটি হোটেলে ওঠেন। বুধবার বিকেলে নাতনির জন্য খেলনা আনতে বড়বাজারে গিয়েছিলেন তাঁরা। ফেরার পথে একটি বাসে ওঠেন দেব্রবতবাবু। কিন্তু বাসটি চলতে শুরু করায় তাঁর স্ত্রী তাতে উঠতে পারেননি। সুস্মিতাদেবী পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি একটি বাসে উঠে বুঝতে পারেন তাঁর স্বামী তাতে নেই। ফলে আতঙ্কিত হয়ে তিনি প্রায় চলন্ত বাস থেকে নেমে পড়েন।
ওই বৃদ্ধাকে কাঁদতে দেখে সন্দেহ হয় ক্যানিং স্ট্রিট-ব্রেবোর্ন রোডের সংযোগস্থলে ডিউটিতে থাকা অফিসারের। বৃদ্ধাকে একটি ট্র্যাফিক বুথের সামনে দাঁড় করিয়ে দেব্রবতবাবুর খোঁজ শুরু হয়। অন্য দিকে দেবব্রতবাবুও খানিকটা দূরে বাস থেকে নেমে পড়েন। ভিড়ের মধ্যে স্ত্রীকে খুঁজতে থাকেন, যা নজরে পড়ে যায় ট্র্যাফিক কনস্টেবল সঞ্জয়ের। এর পরেই স্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেওয়া হয় দেবব্রতবাবুকে।