প্রতীকী ছবি।
দোলের দিন ছাড় নেই বেপরোয়া মোটরবাইক আরোহীদের। ছাড় মিলবে না হোলির দিনও।
লালবাজার জানিয়েছে, মত্ত অবস্থায় বা হেলমেট ছাড়া বেপরোয়া ভাবে চলা মোটরবাইক আটকাতে বৃহস্পতি এবং শুক্রবার (দোল ও হোলির দিন) পুলিশকে সর্তক থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা পুলিশের কমিশনার রাজীব কুমার। প্রতিটি ট্যাফিক গার্ডকেও এই মর্মে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দোলের শহরের নিরাপত্তা নিয়ে মঙ্গলবার বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করেন সিপি। পুলিশের একাংশের দাবি, মত্ত আরোহীকে জরিমানা বা বাইক বাজেয়াপ্ত করা নিয়ে কমিশনার সরাসরি কিছু না বললেও ওই দিন বেপরোয়া মোটরবাইক দেখলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ সূত্রের খবর, প্রতি বছরই যে কোনও উৎসবে ফাঁকা রাস্তা পেলে বেপরোয়া বাইকের দাপাদাপি বেড়ে যায়। দোলের দিনও তা বেশিই হয়। তাতে রাশ টানতেই লালবাজার এ বার মোটরবাইক নিয়ে আগাম সর্তকবার্তা দিয়েছে। বস্তুত গত বছর দোলের দিন রাস্তায় হেলমেট ছাড়াই দেদার বাইক চলেছে। পুলিশ সেই বাইক আটকে ধমক বা জরিমানার বদলে হেলমেটের প্রয়োজনীয়তা বুঝিয়ে ছেড়ে দিয়েছিল। লালবাজারের এক কর্তা জানান, এ বছর হেলমেট ছাড়া বাইক চালালে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ জানিয়েছে, এ দিনের বৈঠকে গত বছরের দোলের বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরে সেগুলির যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় তা-ও দেখতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে জলাশয়গুলির উপরে বিশেষ ভাবে নজর রাখতে বলা হয়েছে। রং খেলার পরে অনেকেই মত্ত অবস্থায় জলে নামেন। তা রুখতে পুকুর এবং নদীর ঘাটে বিশেষ নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত বছর দোলের দিন রিজেন্ট পার্কে দুই যুবকের জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছিল। হোলির দিন অর্থাৎ শুক্রবার সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সামনে মোবাইল পুলিশ পিকেট রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
লালবাজার জানিয়েছে, আজ বুধবার রাত থেকেই পুলিশি টহলদারি শুরু হয়ে যাবে। ৬০০-র বেশি বিশেষ পুলিশ পিকেট থাকবে শহরে। স্পর্শকাতর জায়গাগুলি চিহ্নিত করে ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার অফিসাদের সেখানকার নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।