যান নিয়ন্ত্রণে পুলিশের হাতে আলোর দস্তানা

লালবাজার জানিয়েছে, অন্ধকারে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য ট্র্যাফিক পুলিশের ভরসা এখন ওই বৈদ্যুতিন দস্তানা। রিচার্জেবল ওই দস্তানার এক দিকে থাকছে সবুজ আলো, অন্য দিকে লাল আলো।

Advertisement

শিবাজী দে সরকার

শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০১৯ ০৩:২৬
Share:

আধুনিক: লালবাজারের সামনে বিশেষ দস্তানা পরে যানশাসন করছেন এক ট্র্যাফিক কর্মী। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক

রাস্তার দু’পাশ দিয়ে স্রোতের মতো গাড়ি চলছে। মাঝখানে দাঁড়িয়ে এক পুলিশকর্মী। ডান হাত নাড়িয়ে যান নিয়ন্ত্রণ করছেন। অন্ধকার নামতেই দেখা গেল, তিনি হাতে একটি দস্তানা পরে নিলেন। যার এক দিকে জ্বলছে সবুজ আলো। উল্টো দিকে লাল আলো।

Advertisement

লালবাজার জানিয়েছে, অন্ধকারে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য ট্র্যাফিক পুলিশের ভরসা এখন ওই বৈদ্যুতিন দস্তানা। রিচার্জেবল ওই দস্তানার এক দিকে থাকছে সবুজ আলো, অন্য দিকে লাল আলো। যে ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় ডিউটি করেন, মূলত তাঁদেরই ওই সিগন্যাল দস্তানা দেওয়া হয়েছে। দস্তানার মাঝে হাতের তালু এবং তার পিছনের অংশে লাগানো রয়েছে ওই উজ্জ্বল আলো। যা দূর থেকেও সহজেই দেখা যায়। আপাতত লালবাজার ওই রকম ২০টি দস্তানা কিনেছে। লালবাজার, ডালহৌসি বা হাইকোর্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ডিউটিতে থাকা ট্র্যাফিক কনস্টেবলদের ওই দস্তানা দেওয়া হয়েছে।

ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রের খবর, ওই বৈদ্যুতিন দস্তানায় এক বার চার্জ দিলে তা ১০ ঘণ্টার মতো চলে। দস্তানার কব্জির কাছে থাকে ব্যাটারি। যা দিয়ে আলো জ্বালানো বা নেভানো যায়। দু’হাজার টাকা দামের ওই দস্তানা পরীক্ষামূলক ভাবে ব্যবহার করা হলেও পুলিশকর্মীদের অভিজ্ঞতার উপরেই নির্ভর করছে, গোটা শহরে তা ছড়িয়ে দেওয়া হবে কি না।

Advertisement

বিশেষ দস্তানা পরে যান নিয়ন্ত্রণ। নিজস্ব চিত্র।

কেন ব্যবহার করা হচ্ছে ওই দস্তানা?

এক পুলিশকর্তা জানান, মাঝরাস্তায় দাঁড়িয়ে পুলিশকর্মীদের খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে ডিউটি করতে হয়। বিশেষ করে রাতে সেই ঝুঁকির মাত্রা অনেকটা বেড়ে যায়। অন্ধকার রাস্তায় গাড়িচালকেরা দূর থেকেই যাতে ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীদের দেখতে পান, তা নিশ্চিত করতেই ওই দস্তানা দেওয়া হচ্ছে।

এর আগে লালবাজার ট্র্যাফিক পুলিশের কর্মী ও অফিসারদের কাঁধে দু’রঙের আলো লাগানোর ব্যবস্থা করেছিল। সেটা পরেই পুলিশকর্মীরা এখন রাস্তায় ডিউটি করেন। তারও আগে যান সামলানোর জন্য হ্যান্ড লাইট ব্যবহার করতেন পুলিশকর্মীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন