রঙে-রঙে: রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বি টি রোড ক্যাম্পাসে বসন্ত উৎসব। সোমবার। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়
দোল এবং হোলিতে ছাড় নেই বেপরোয়া মোটরবাইক আরোহীদের। ওই দু’দিন মালবাহী গাড়িতে চেপে রাস্তায় হুল্লোড় করলেও ধরবে পুলিশ।
সোমবার দোল এবং হোলির নিরাপত্তা নিয়ে দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। সেখানে প্রতিটি থানা এবং ট্র্যাফিক গার্ডের আধিকারিকেরা ছাড়াও ছিলেন পুলিশের বড় কর্তারা।
লালবাজার সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে আগামী বৃহস্পতি ও শুক্রবার দোল এবং হোলির দিনে শহরের রাস্তায় বেপরোয়া এবং মত্ত বাইক-আরোহীদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলেছেন পুলিশ কমিশনার। যাতে মদ্যপান করার পরে উদ্দাম গতিতে কেউ মোটরবাইক না চালায়, তা-ও দেখতে বলেছেন তিনি। সে কারণে বেপরোয়া গতির মোটরবাইক দেখলেই চালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অতীতে দেখা গিয়েছে, ছোট পণ্যবাহী গাড়ি ভাড়া করে রাস্তায় হুল্লোড় করতে বেরোন অনেকে। ওই সমস্ত গাড়ি থেকে রং ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ। এ বারের উৎসবে ওই ধরনের গাড়ির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। সাধারণত, হোলির দিন মধ্য এবং পূর্ব কলকাতার বিভিন্ন রাস্তায় ওই দৃশ্য দেখা যায়। পুলিশের একাংশের দাবি, ওই উচ্ছৃঙ্খল আচরণ বন্ধ করতেই পুলিশ কমিশনার এ দিন বাহিনীর সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছেন।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
পুলিশ কমিশনার এ দিনের বৈঠকে আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন, দোল এবং হোলির দু’দিন বেশি সময় ধরে রাস্তায় থাকতে। যাতে শহরবাসী তাঁদের প্রয়োজনে পুলিশকে হাতের কাছে পান। এ ছাড়া, পুলিশ রাস্তায় থাকলে দুষ্কৃতীরা অপরাধ করতে সাহস পাবে না বলেও মনে করছেন পুলিশের আধিকারিকেরা। এক পুলিশকর্তা জানান, গত কয়েক বছর ধরে দেখা গিয়েছে, দোলের পরে স্নান করতে নেমে ডুবে যাওয়ার একাধিক ঘটনা ঘটেছে। এটা যাতে আটকানো যায়, তার জন্য গঙ্গার ঘাটের সঙ্গেই পুকুরের ঘাটগুলিতে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করতে বলা হয়েছে।