Kolkatar Korcha

এক পত্রিকা, দুই মনীষী

১৯৬১, রবীন্দ্রনাথের জন্মশতবর্ষে এ ছবিটি করার পাশাপাশি তিন রবীন্দ্র-ছোটগল্পের (পোস্টমাস্টার, মণিহারা, সমাপ্তি) সমাহারে তিন কন্যা করেছিলেন সত্যজিৎ

Advertisement
শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০২১ ০৮:১০
Share:

হৃদয়ে মন্দ্রিল ডমরু গুরু গুরু,/ ঘন মেঘের ভুরু কুটিল কুঞ্চিত,/ হল রোমাঞ্চিত বন বনান্তর’— এই গানের ‘সঘনবর্ষণশব্দমুখরিত’ দৃশ্যরূপ সত্যজিৎ স্মৃতিধার্য করে রেখেছেন তাঁর রবীন্দ্রনাথ তথ্যচিত্রে। দু’চোখ ভরে থাকে সেই আদিগন্ত চরাচরব্যাপী দৃশ্য, চোখ আর গানের অবিরত চলাচলে তৈরি হতে থাকে ছন্দ, দেখতে দেখতে মনে পড়ে কবির ছিন্নপত্র: ‘অশ্রান্ত বৃষ্টি... সজল শ্যামল অবনত মেঘ স্তূপে স্তূপে স্তরে স্তরে জমে রয়েছে... পদ্মার ঘোলা জলরাশি ছায়ায় আচ্ছন্ন হয়ে এসেছে; নদীর এক তীর থেকে আর-এক তীর পর্যন্ত মেঘের সঙ্গে মেঘ আবদ্ধ হয়ে সমস্ত আকাশ অধিকার করে নিয়েছে...’ (শিলাইদহ, ৫ অগস্ট ১৮৯৪)।

Advertisement

সত্যজিতের ছবিটির সমাপ্তি সূচিত হয় কবির আশি বছরের জন্মদিনে, মানবপ্রজাতির জন্যে রেখে যাওয়া তাঁর অমোঘ সভ্যতার সংকট-এ: ‘মানুষের প্রতি বিশ্বাস হারানো পাপ, সে বিশ্বাস শেষ পর্যন্ত রক্ষা করব।... মনুষ্যত্বের অন্তহীন প্রতিকারহীন পরাভবকে চরম বলে বিশ্বাস করাকে আমি অপরাধ মনে করি। এই কথা আজ বলে যাব, প্রবলপ্রতাপশালীরও ক্ষমতা মদমত্ততা আত্মম্ভরিতা যে নিরাপদ নয় তারই প্রমাণ হবার দিন আজ সম্মুখে উপস্থিত হয়েছে; নিশ্চিত এ সত্য প্রমাণিত হবে...’ (১৯৪১)। শেষ দৃশ্যে ধ্বনিত হয় ‘ঐ মহামানব আসে,/ দিকে দিকে রোমাঞ্চ লাগে/ মর্ত্যধূলির ঘাসে ঘাসে।’

১৯৬১, রবীন্দ্রনাথের জন্মশতবর্ষে এ ছবিটি করার পাশাপাশি তিন রবীন্দ্র-ছোটগল্পের (পোস্টমাস্টার, মণিহারা, সমাপ্তি) সমাহারে তিন কন্যা করেছিলেন সত্যজিৎ, এই মে মাসেই সে ছবি মুক্তি পেয়েছিল এ শহরে, এবং দিল্লি-সহ অন্যত্রও। সত্যজিতের সেই প্রথম রবীন্দ্রনাথের কাহিনি অবলম্বনে ছবি করা। এখানেই শেষ নয় তাঁর রবীন্দ্রশ্রদ্ধাঞ্জলি, সে বছর কবির যে ডাকটিকিটটি প্রকাশ পায়, তার শিল্পকর্মের ভারও নেন তিনি, সেটিই এ বারের প্রকাশিতব্য সন্দেশ পত্রিকার প্রচ্ছদ (সঙ্গে ছবিতে)। সম্পাদক সন্দীপ রায় জানালেন, “আমাদের বাড়িতে আমানুল হকের তোলা একটা ছবি আছে, দেখি, তাতে বাবা বসে রবীন্দ্রনাথের ওই ডাকটিকিটের ডিজ়াইন করছেন। আমি স্থির করে ফেলি যে বাবার এই আর্টওয়ার্কটা সকলের দেখা দরকার, রবীন্দ্রনাথের একটা পোর্ট্রেট থেকে উনি এটা করেছিলেন। অতএব রবীন্দ্রনাথের ১৬০তম জন্মবর্ষে আর বাবার শতবর্ষে সন্দেশ-এর এটাই হবে যথার্থ প্রচ্ছদ।” সংখ্যাটিতে ডাকটিকিটে বিশ্বকবি শীর্ষক একটি লেখায় দেবাশিস মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘১৯৬১ সালের ৭ মে এই টিকিটটি প্রকাশ পেয়েছিল।... কবির এই ছবিটি তোলা হয়েছিল ১৯২৬ সালে ইতালির মিলান শহরে।’ এ সংখ্যায় রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে ক্রোড়পত্রে সঙ্কলিত হয়েছে সে কালে সন্দেশ-এ লেখা তাঁর যাবতীয় রচনা। সুকুমার রায়ের মৃত্যুর বছর দুয়েকের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ফের সন্দেশ বেরোতে থাকে সত্যজিতের মেজকাকা সুবিনয় রায়ের তত্ত্বাবধানে, “এই সন্দেশেই ধারাবাহিক ভাবে প্রথম সংখ্যা থেকে বেরোয় রবীন্দ্রনাথের সে,” যখন ছোট ছিলাম বইয়ে লিখেছেন সত্যজিৎ।

Advertisement

বিষয় এক্ষণ

সত্যজিৎ রায় শুধু নামকরণই করেননি, প্রথম সংখ্যা থেকেই প্রচ্ছদও (ছবিতে, শেষ সংখ্যারও প্রচ্ছদ ছিল একই) এঁকে দিয়েছিলেন এক্ষণ-এর। ১৯৬০-এর শেষ, লেক টেম্পল রোডের বাড়িতে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় হাজির বন্ধু নির্মাল্য আচার্যকে নিয়ে। ক’দিন পরে ফের যেতে টুকরো কাগজে লেখা কয়েকটি সম্ভাব্য নাম এগিয়ে দিলেন সত্যজিৎ। রবীন্দ্রজন্মশতবর্ষে দ্বিমাসিক পত্রিকা হিসেবে আত্মপ্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে আদৃত হয় এক্ষণ। দেশ-কালের অভিনিবেশ ও সঙ্কটাপন্ন মূল্যবোধকে ফিরিয়ে আনার প্রয়াসে রত ছিল এ পত্রিকা, পুস্তিকাকারে সে ইতিহাস লিখেছেন দেবাশিস মুখোপাধ্যায়। সঙ্গে সত্যজিতের কয়েকটি অলঙ্করণ, কিছু স্থিরচিত্র, আর এক্ষণ-এর নির্বাচিত ২৪টি (সত্যজিৎ-কৃত) প্রচ্ছদের অনন্য পোস্টকার্ড সেট। সত্যজিৎ রায় সোসাইটি-র সঙ্গে যৌথ এ আয়োজন ‘ফাটাফাটি’ সংস্থার।

চিজ়-চরিত

ষোড়শ শতকে হুগলি-তীরে ঘাঁটি তৈরির ফলে এ দেশে পর্তুগিজ সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে ওঠে ব্যান্ডেল। বাণিজ্য প্রসারের উদ্দেশ্যে নানা পণ্য ও তার প্রক্রিয়াকরণ পদ্ধতির সঙ্গে এ অঞ্চলের পরিচয় করায় পর্তুগিজরা, যার মধ্যে ছিল এক বিশেষ ধরনের চিজ়। পরবর্তী কালে তা বিখ্যাত হয় ‘ব্যান্ডেল চিজ়' নামে। ঐতিহাসিক ব্যান্ডেল চিজ়কে নতুন যুগের চাহিদার উপযোগী করে তোলার গবেষণায় নিয়োজিত রয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও জৈব রসায়ন বিভাগের একটি দল, দেবব্রত বেরার নেতৃত্বে। ২০১৭ সালে রাজ্য সরকারের সহায়তায় শুরু হওয়া এই গবেষণায় দেখা গেছে, ব্যান্ডেল চিজ় তৈরির প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন হতে পারে ঔষধিগুণ সম্পন্ন উপজাত পণ্যও। প্রোবায়োটিক ড্রিঙ্ক, ফার্মেন্টেড মিল্ক-সহ নতুন উপজাত পণ্য তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছেন শহরের গবেষকরা।

গাড়িয়াল নাই

‘একবার উত্তরবাংলা আসিয়া যান,’ ভাওয়াইয়া শিল্পীদের প্রিয় এ গানে ভেসে ওঠে এক মায়াময় ভূখণ্ডের ছবি। শিল্পী ধনেশ্বর রায়ের (১৯৩৪-২০২১) কথা ও সুরে প্রাণ পেয়েছে রাজবংশী ভাষা-সংস্কৃতির বহু মরমিয়া গান। গোড়ার দিকে আঠারো বছর যুক্ত ছিলেন নজরুলগীতি চর্চায়, পরে কোচবিহার-জলপাইগুড়ির বৃহত্তর বৃত্তে ভাওয়াইয়ার টানে জড়িয়ে পড়েন। লিখেছেন অজস্র ভাওয়াইয়া গান। বাস্তবের মইষাল বন্ধু, গাড়িয়াল বন্ধু তো হারিয়ে গেছে, সেই দুঃখ তাঁর সুরের দরদে পেয়েছে অন্য মাত্রা। আলিপুরদুয়ারের আলিনগরে তাঁর গ্রামে যাওয়ার পথে পড়ে মুজনাই নদী, এমন বহু নদীতীরের কথা লিখেছেন গানে— ‘ছৈয়ের তলত মানষি নাই/ সেই গাড়ির গাড়িয়াল নাই রে।’ ৮৬ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন গত ২১ মে।

গোর্কি-রবি

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও মাক্সিম গোর্কির দেখা হয়নি কখনও। রাশিয়ার চিঠি-তেও গোর্কির উল্লেখ নেই; গোর্কির পুস্তকসংগ্রহে রবীন্দ্রনাথের রচনা থাকলেও তাঁর লেখালিখিতে কখনও আসেনি রবীন্দ্রনাথের নাম। তরুণ বয়সে বামপন্থী রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছিলেন গোর্কি, পরে কিছু দূরত্বও ঘটেছিল। রাজনীতি সম্পর্কে এত নিশ্চিত ছিলেন না রবীন্দ্রনাথ, আজীবন অন্বেষী ছিলেন মানবকল্যাণ পন্থার। তবু দুই মনীষা পাশাপাশি রেখে পড়া যায়, তুলনামূলক আলোচনা করা যায় মা আর রক্তকরবী-র। সে কথাই উঠে এল ইন্ডিয়া-রাশিয়া ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি কলকাতা ও রাশিয়ান হাউস মুম্বই আয়োজিত আন্তর্জাল-আলোচনায়, গত ২৩ মে। বললেন সুরঞ্জন দাস, সের্গেই সেরেব্রিয়ানি, সের্গেই ফান্দিয়েভ, লিলি বন্দ্যোপাধ্যায়, ঋতম মুখোপাধ্যায়।

ভিন্ন পাঠ

রামায়ণে গল্পের মূল কাঠামোর মধ্যে বাঙালির ভিন্ন ভিন্ন পাঠের কথা সম্প্রতি উঠে এল ‘সোসাইটি ফর আন্ডারস্ট্যান্ডিং কালচার অ্যান্ড হিস্ট্রি ইন ইন্ডিয়া’ (শুচি) আয়োজিত ঊর্ণাময়িক আলোচনাচক্রে। উনিশ শতকের মুদ্রণে, বা তার আগে পুঁথিতে লেখা রামায়ণের নানা সংস্করণে বাঙালি খুঁজে পেয়েছে ধর্মীয় সমন্বয়, নারীর প্রতি অন্যায়ের প্রতিবাদ, বিকল্প যৌনতার পাঠও। সেই সব উদাহরণ সহায়ে রামায়ণে বহুত্বের গুরুত্বের কথা বললেন আলোচক, বিজলীরাজ পাত্র। উঠে এল ছাপা রামায়ণে ছবির ভূমিকা, সিরিয়ালে রামায়ণের কথা। চিত্রায়ণে চিত্রকরের নিজস্ব পাঠের প্রতিফলন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন করলেন অধ্যাপক রণবীর চক্রবর্তী। শোনা যাবে শুচি-র ফেসবুক পেজে।

দেড়শোয় পা

১৮৭২ সালের প্রশাসনিক রিপোর্ট জানাচ্ছে, কলকাতায় ‘ডেঙ্গুজ্বর’ দাপাচ্ছে, নেটিভপাড়ায় এমন কোনও বাড়ি নেই, রোগ যার চৌকাঠ ডিঙোয়নি। এই পটভূমিতেই বালক রবীন্দ্রনাথের ‘পেনেটি’ তথা পানিহাটি আসা, ১৮৭২-এর ১৪ মে (২ জ্যৈষ্ঠ ১২৭৯)। জীবনস্মৃতি-তে আছে সে কথা: ‘কলিকাতায় ডেঙ্গুজ্বরের তাড়ায় আমাদের পরিবারের কিয়দংশ পেনেটিতে ছাতুবাবুদের বাগানে আশ্রয় লইল।’ ফিরে গিয়েছিলেন ৩০ জুন, মাস দেড়েকের সাময়িক বাসে গঙ্গার জোয়ার-ভাটা, নৌকোর বিচিত্র গতিভঙ্গি, সশব্দ বৃষ্টিধারা দেখে দিন কাটানো, সকালে এখোগুড় দিয়ে বাসি লুচি খাওয়া, অভিভাবকের সঙ্গে পাড়াগাঁ বেড়ানো— গভীর ছাপ ফেলেছিল তাঁর বাল্যমানসে। পরেও তিনি এসেছেন এই বাগানবাড়ি (নীচে ছবিতে)। সরলা দেবীর অন্নপ্রাশনও হয়েছে এখানে, আর ১৯৩৩-এ রবীন্দ্রনাথের হাতেই এ বাড়িতে ‘গোবিন্দ কুমার উদ্ধার আশ্রম’-এর দ্বারোদ্‌ঘাটন, ময়মনসিংহের শেরপুরের জমিদার গোবিন্দ কুমার চৌধুরীর নামে ১৯২৮-এই দুঃস্থ, সমাজচ্যুত নারীদের কল্যাণে যে আশ্রমের সূচনা, এখনও রীতিমতো সক্রিয় ‘গোবিন্দ হোম’ নামে। সেই প্রথম আসা পা দিল ১৫০ বছরে।

জ্যোতিচ্ছবি

১৮৭০-এর দশকে ঠাকুরবাড়ির বহু-আলোচিত চরিত্র জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর। নাট্যশালায়, সাহিত্য-সঙ্গীতে তাঁর অনায়াস দক্ষতার তলায় একটু হলেও ঢাকা পড়ে যায় তাঁর চিত্রকর সত্তা। ছাত্রজীবন থেকেই পোর্ট্রেট আঁকতেন। ১৮৬৭ নাগাদ সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছে আমদাবাদে থাকার সময় পান চিত্রশিল্পের অনন্ত বিশ্বের সন্ধান। কলকাতায় বা রাঁচির বাসভবনের নিভৃতিতে কাগজে পেনসিলে ঠাকুরবাড়ির স্বজনদের প্রায় দু’হাজার পোর্ট্রেট এঁকেছিলেন, যেগুলি সযত্নে রক্ষিত রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯১৪-য় লন্ডনে কোলোটাইপ প্রক্রিয়ায় এর ২৫টি প্রিন্ট করা হয়। ১৪ মে জন্মদিন ছিল তাঁর, জন্মমাসে জ্যোতিরিন্দ্রনাথের (১৮৪৯-১৯২৫) আঁকা প্রতিকৃতিগুলি নিয়ে প্রদর্শনী চলছে ‘আর্টঅলিন্দ’-র ওয়েবসাইটে। তাঁর কালোত্তীর্ণ আঁচড়ে আজও সপ্রাণ কাদম্বরী, জ্ঞানদানন্দিনী, গগনেন্দ্রনাথ, অবনীন্দ্রনাথ, কিশোর রবীন্দ্রনাথ (ছবিতে)। প্রদর্শনীটির কিউরেটর জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য।

দরদি

কোভিডে আক্রান্ত হয়ে কেউ নিভৃতবাসী, সঙ্গী দুশ্চিন্তা, শঙ্কা, ক্লান্তি। এমন পরিবেশে ‘পূর্ব পশ্চিম’ নাট্যদল হাজির মুঠোফোনে। সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত দলের তরফে গান, আবৃত্তি, মঞ্চের নেপথ্যকাহিনি— অসুস্থ, একাকী মানুষের মনের রসদ জোগাতে। লকডাউনে নাটকের না হোক, জীবনের মঞ্চে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন ওঁরা। নানা আয়োজন ‘অনীক’ নাট্যদলেরও। ‘আনাড়ি’ সংস্থার সঙ্গে কোভিড-রোগীদের বাড়িতে খাবার দেওয়ার পরিবহণ খরচ বহন, রোগীর জন্য অক্সিজেন কনসেনট্রেটর, দুঃস্থদের চিকিৎসায় প্রাথমিক ওষুধপত্র বিনামূল্যে বিতরণের ব্যবস্থা ওঁদের। ‘থিয়েটার ফোরাম’ আয়োজিত ‘থিয়েটারের হেঁসেল’ কর্মসূচির সঙ্গেও যুক্ত দল। দাঁড়িয়েছে অসহায় কর্মীদের পাশেও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন