পুলিশের সঙ্গে মেয়র এবং চেয়ারপার্সন। শনিবার। নিজস্ব চিত্র
রাস্তার ধারে ফুড-কিয়স্ক বসানো নিয়ে বিধাননগর পুরসভার কর্তাদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব সামনে চলে এল। যদিও এ কথা মানতে নারাজ বিধাননগর পুর কর্তৃপক্ষ।
শনিবার সকালে করুণাময়ী মোড়ের কাছে গাড়ি করে এনে রাস্তার ধারে কয়েকটি ফুড-কিয়স্ক রাখা হয়। কিছু ক্ষণ পরে এক মেয়র পারিষদকে নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন বিধাননগরের মেয়র। হাজির হন স্থানীয় কাউন্সিলর তথা চেয়ারপার্সন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, পুর-কর্তাদের মাঝে কয়েক জন তৃণমূল কর্মী কথা বলতে গেলে শুরু হয় উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়। এক পুরকর্তাকে উত্তেজিত হয়ে কথা বলতেও শোনা গিয়েছে। এর পরেই মেয়র কিয়স্ক সরানোর নির্দেশ দেন। পুলিশের তিন কর্তা গিয়ে কিয়স্কগুলি সরানোর পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
কিন্তু বিষয়টি কী? মেয়র সব্যসাচী দত্ত জানান, পুরসভাকে না জানিয়েই কয়েকটি দোকান বসছিল ওই এলাকায়। খবর পেয়ে তিনি সেখানে যান। নতুন করে কোনও দোকান বসতে দেওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিধাননগর পুরসভা। তাই সরানো হয়েছে কিয়স্কগুলি। তবে কোনও ঝগড়া হয়নি। এ দিকে ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় কাউন্সিলর তথা চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী জানান, আগের বিধাননগর পুরবোর্ডের সিদ্ধান্ত ছিল, বেকারদের কর্মসংস্থানের জন্য প্রতি ওয়ার্ডে চারটি কিয়স্ক বসানো যাবে। নতুন বিধাননগর পুরসভায় তাঁর আগের ওয়ার্ডের সঙ্গে আরও একটি ওয়ার্ড যোগ হওয়ায় আটটি কিয়স্ক বসানোর কথা। জলসত্র বসানোরও কথা ছিল। তাঁর দাবি, ‘‘কোনও উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়নি।’’
প্রশ্ন উঠছে, আগের সিদ্ধান্ত তবে বর্তমান বোর্ড জানে না কেন? মেয়র বলেন, ‘‘কিয়স্ক বসানোর সিদ্ধান্ত আগের পুর বোর্ডের। বর্তমান বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে, রাস্তার ধার বা ফুটপাথে দোকান বসাতে পুলিশের অনুমতি লাগবে। অনুমতি মিললেও পুরসভা বিবেচনা করবে। মেয়র পারিষদ (জঞ্জাল অপসারণ) দেবাশিস জানা বলেন, ‘‘সাবেক পুরসভার সিদ্ধান্ত মেনে কিয়স্ক বসানো নিয়ে লিখিত কোনও নির্দেশ আমার কাছে আসেনি।’’