Suicide

রান্না খারাপ, পরিবারের গঞ্জনায় আত্মহত্যা তরুণীর

সোমবার সকালে দিদি কৃষ্ণার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান তাঁর ভাই তোতন। তিনি বলেন, ‘‘দিদি পৌনে ১০টা নাগাদ ফোন করে ডাকে আমাকে। সাড়ে ১০টা নাগাদ দিদির বাড়ি পৌঁছই। দিদির ঘরের সামনে বারবার ডাকা সত্ত্বেও কেউ সাড়া না দেওয়ায় দরজা খুলে ভিতরে ঢুকি।’’ তারপরেই দিদির ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০১৮ ১৪:৩১
Share:

আত্মঘাতী তরুণী। —নিজস্ব চিত্র

নতুন বউ ভাল রান্না করতে পারে না। অভিযোগ, সেই কারণে প্রতিদিন স্বামী ও শাশুড়ির গঞ্জনা সহ্য করতে না পেরে শেষে আত্মঘাতী হয়েছেন বছর পঁচিশের কৃষ্ণা হালদার।

Advertisement

সোনারপুর থানার ফুলেরহাট এলাকার বাসিন্দা কৃষ্ণা। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পরই পরিবার মাস ছয়েক আগে তাঁর বিয়ে দিয়ে দেন রাধানগরের বাসিন্দা সুজয় কর্মকারের সঙ্গে।

সোমবার সকালে দিদি কৃষ্ণার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান তাঁর ভাই তোতন। তিনি বলেন, ‘‘দিদি পৌনে ১০টা নাগাদ ফোন করে ডাকে আমাকে। সাড়ে ১০টা নাগাদ দিদির বাড়ি পৌঁছই। দিদির ঘরের সামনে বারবার ডাকা সত্ত্বেও কেউ সাড়া না দেওয়ায় দরজা খুলে ভিতরে ঢুকি।’’ তারপরেই দিদির ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান তিনি।

Advertisement

আরও পড়ুন: শেষ রক্ষা হল না, মল্লিকার কিডনি বাঁচাতে পারল না মৌমিতাকে

তাঁর অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই সুজয় এবং তাঁর মায়ের সঙ্গে গন্ডগোল শুরু হয় দিদির। তোতন বলেন, “দিদি আগে কখনও রান্না করেনি। তাই বিয়ের পর রান্না করতে পারত না। তা-ও চেষ্টা করত। রান্না খারাপ বলে দিদির উপর নিয়মিত অত্যাচার চালাত জামাইবাবু এবং ওর শাশুড়ি।”

আরও পড়ুন: ‘মুখে হাসি ফোটাতে টাকা তো লাগেই!’

তোতন এবং কৃষ্ণার পরিবারের অভিযোগ কৃষ্ণাকে খুন করা হয়েছে। তবে সোনারপুর থানার পুলিশ প্রাথমিক তদন্তের পর খুনের সম্ভবনা উড়িয়ে দিয়েছে। তাঁদের অনুমান, আত্মহত্যাই করেছেন কৃষ্ণা। তবে গ্রেফতার করা হয়েছে সুজয় এবং তাঁর মাকে। সোমবার দু’জনকেই বারুইপুর আদালতে তোলা হবে।

শহরের প্রতি মুহূর্তের সেরা বাংলা খবর জানতে পড়ুন আমাদের কলকাতা বিভাগ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন