বধূ হত্যায় যাবজ্জীবন স্বামী-সহ তিন জনের

বধূ হত্যায় যাবজ্জীবন সাজা হল তিন জনের। বৃহস্পতিবার ব্যারাকপুর আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক সৈয়দ নিয়াজুদ্দিন আজাদ এই রায় ঘোষণা করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০২:০৪
Share:

বধূ হত্যায় যাবজ্জীবন সাজা হল তিন জনের। বৃহস্পতিবার ব্যারাকপুর আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক সৈয়দ নিয়াজুদ্দিন আজাদ এই রায় ঘোষণা করেন। সরকারি আইনজীবী সুশীল চক্রবর্তী বলেন, ‘‘২০০৭-এ বেলঘরিয়ার শরৎ পল্লিতে বাবলি রায় নামে ওই মহিলাকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ ওঠে স্বামী তুহিন রায়, জিনিয়া নন্দী এবং তাঁর মা মীরা নন্দীর বিরুদ্ধে। পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে। ২৩ জন সাক্ষীর বয়ানের পরে বিচারক সাজা ঘোষণা করেন।’’ দোষীদের প্রত্যেকের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানাও হয়েছে। ওই টাকার অর্ধেক বাবলির ছেলের ভরণপোষণে খরচ করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তুহিনের কোনও সম্পত্তি থাকলে তা-ও খোঁজ নিতে বলা হয়েছে।

Advertisement

আদালত সূত্রে খবর, স্বাস্থ্য দফতরের কর্মী তুহিনের সঙ্গে ২০০৩ সালে বিয়ে হয়েছিল বাবলির। তুহিনের আসল বাড়ি রায়গঞ্জে। সে লেকটাউনের দক্ষিণদাঁড়িতে ভাড়া থাকত। বিয়ের পরে বেলঘরিয়ায় বাড়ি ভাড়া নেয় সে। লেকটাউনের ওই বাড়িতেই থাকতেন জিনিয়া নন্দী ও তাঁর মা মীরাদেবী। জিনিয়ার সঙ্গেও সম্পর্ক ছিল তুহিনের। বিয়ের বছর চারেক পরে বাবলি পুরো ঘটনা জানতে পেরে প্রতিবাদ করেন। ২০০৭ সালের ৫ ডিসেম্বর বেলঘরিয়ার ওই বাড়ি থেকে পোড়া গন্ধ পেয়ে প্রতিবেশীরা এসে দেখেন, মৃতপ্রায় অবস্থায় পড়ে রয়েছেন বাবলি। হাসপাতালে ১০ তারিখ তিনি মারা যান। এর পরে বাবলির দিদি জয়া চক্রবর্তী ওই তিন জনের নামে অভিযোগ করেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement