mamata banerjee

মিরজাফরদের ক্ষমা করবেন না, নবাবের জেলায় দাঁড়িয়ে দলত্যাগীদের বার্তা মমতার

বহরমপুরেই চলছে বিজেপির ‘পরিবর্তন যাত্রা’। দুই ‘হেভিওয়েট’ কর্মসূচি ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৪:৫৪
Share:

বহরমপুরের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র

অধীর চৌধুরীর খাসতালুকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বহরমপুর স্টেডিয়ামে রাজনৈতিক জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দেওয়া নেতাদের উদ্দেশে মমতার তোপ, ‘‘কিছু দুষ্ট গরু, বিজেপিতে চলে গিয়েছে। কী করবে? অনেক দুর্নীতি করেছে। এখন ভাবছে, যদি গরু চুরিতে ধরা পড়ে যাই। যদি দুর্নীতি ধরা পড়ে যাই।’’

Advertisement

বিজেপি-কে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘বিজেপি সাধারণ মানুষের পার্টি নয়। বড়লোকদের পার্টি, জোতদারদের পার্টি, জমিদারদের পার্টি। গুজরাত বাংলা শাসন করবে না। বাংলাই বাংলা শাসন করবে। তৃণমূলই বাংলা শাসন করবে। দিল্লির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবে।’’

তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগদানকারী নেতাদের উদ্দেশে মমতা বলেন, ‘‘যাঁরা দুর্নীতি করেছিল, তাঁরা দল ছেড়ে চলে গিয়েছে। বিজেপি-তে গিয়ে ওয়াশিং মেশিনে ধুয়ে কালো সাদা হয়ে যাচ্ছে।’’

Advertisement

মমতার বক্তব্য:
৩.১৫:
যাঁরা দুর্নীতি করেছিল, তাঁরা চলে গিয়েছে। রাজনীতি করে তিন ধরনের লোক। লোভী, ভোগী আর ত্যাগী। আমি লোভী নই, ভোগী নই। মনে রাখবেন, মাথার উপরে আমি আছি। আজ পর্যন্ত এমন কোনও সিদ্ধান্ত নিইনি, যা সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে। সব পরিবার কিছু না কিছু পায়।

৩.১৩: বিজেপি সাধারণ মানুষের পার্টি নয়। বড়লোকদের পার্টি, জোতদারদের পার্টি, জমিদারদের পার্টি। নোটবন্দি করল, তার পর কোভিডে করল ঘরবন্দি। দাঙ্গাবাজদের পার্টি। গুজরাত বাংলা শাসন করবে না। বাংলাই বাংলা শাসন করবে। তৃণমূলই বাংলা শাসন করবে। দিল্লির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবে। বাংলাকে কিছু দেয় না। আমপানে কিছু দেয়নি। কোভিডে এত মানুষ মারা গেল, তাঁদের আমরা সাহায্য করলাম। কিন্তু কেন্দ্র একটাও টাকা দিল না।

৩.১১: সারা দেশে কৃষকরা আন্দোলন করছেন। হরিয়ানা, দিল্লি, রাজস্থান, পঞ্জাবের কৃষকরা আন্দোলন করেননি। আমাদের এখানে আড়াই কোটি টন ধান উৎপাদন হয়। অন্ধ্রপ্রদেশে ১১১ লক্ষ টন, ১ লক্ষ ৫০ টন পঞ্জাবে ধান কেনে কেন্দ্রীয় সরকার। আর বাংলায় কত কেনে জানেন? ৭৬ হাজার মেট্রিক টন। কিন্তু আমরা চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কিনি। কোভিডের জন্য কিছু সমস্যা হয়েছিল। কিন্তু সেই কর্মসূচি আবার শুরু হবে।

৩.১০: স্বাস্থ্যসাথীতে এখনও যাঁরা আবেদন করেননি, করে নিন। পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য এক টাকাও দেয়নি কেন্দ্র। আমরা ট্রেনের ভাড়া দিলাম, বাসে করে নিয়ে এলাম। অথচ চোর, ডাকাত, দুর্নীতিবাজদের জন্য চাটার্ড প্লেন পাঠিয়ে দিচ্ছে।

৩.০৬: আমি যত দিন বাঁচব, মাথা নত করব না। যত দিন বাঁচব, রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার হয়ে বাঁচব। আমি বলেছিলাম, সিএএ, এনপিআর করতে দেব না। আমি করতে দিইনি। তার জন্য শুধু আমার পিছনে লাগছে। প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত দাঁড়িয়ে বলে দিচ্ছেন, সরকারি কর্মীরা মাইনে পাচ্ছেন না। একটা কোনও সরকারি কর্মী দেখান, যিনি মাইনে পাননি বা পাচ্ছেন না।

৩.০৪: সাগরদিঘি, ডোমকল, জলঙ্গিতে আমরা তিনটে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল করেছি। মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। ধান কেনার প্রক্রিয়া কেউ কেউ আটকে দিয়েছে। আমি প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছি, অবিলম্বে ধান কেনার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।

৩.০৩: কংগ্রেস, সিপিএম বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে চায় না। লড়াই করবে একমাত্র তৃণমূল।

৩.০২: আগামী দিনে বাংলায় তৃণমূলের সরকার গড়তে মুর্শিদাবাদ এবং মালদহের সব আসন কিন্তু আমরা চাই। আপনারা কেউ অন্য কোনও উস্কানিতে পা দেবেন না। বিজেপি আবার একটা সাম্প্রদায়িক দলকে টাকা দিয়ে নিয়ে এসেছে। ওদের ফাঁদে পা দেবেন না।

৩.০১: ভয় পাবেন না। বিজেপি অনেক ভয় দেখাবে। আমি ভয় পাই? আমার সারা শরীরে মারের চিহ্ন। মার খেতে খেতে এই জায়গায় এসেছি। আমি বন্দুকের সঙ্গেও লড়াই করতে পারি, গুন্ডাদের সঙ্গেও লড়াই করতে পারি। আমাকে ভয় দেখালে, আমি চমকাই না। আমাকে চমকালে মানুষ তাঁদের ধমকাই।

৩.০০: মুর্শিদাবাদে আমার প্রথম বিধায়ক হন সুব্রত সাহা। এর পর ধীরে ধীরে বাম, কংগ্রেস থেকে আমাদের দলে এসেছেন। মনে রাখবেন, আগামী দিনে আপনাদের ভোটেই সরকার গঠন হবে।
২.৫৭: বাংলায় মহিলা, মা-বোনেদের যে স্বাধীনতা আছে, যে শান্তি আছে, যে সম্মান আছে, আর কোথাও নেই। চলে যান বিজেপি শাসিত রাজ্য উত্তরপ্রদেশে, দেখবেন কী ভাবে অত্যাচার চলছে। চলে যান দিল্লিতে, দেখলেন তো কী ভাবে দাঙ্গা হল। আমাদের বাংলার মতো সম্মান আর কারও কাছে নেই।

২.৫৫: বিজেপি তো বাংলার পার্টি নয়, গুজরাতের পার্টি। দিল্লিতে দাঙ্গা করার পার্টি। এনআরসি, সিএএ করার পার্টি।

২.৫৪: অনেক দুর্নীতি করেছে। এখন ভাবছে, গরু চুরি করেছি, যদি ধরা পড়ে যাই। দুর্নীতি করেছি, যদি ধরা পড়ে যাই। তাই বিজেপি-তে যাচ্ছে। ওয়াশিং মেশিনে গিয়ে কালো, সাদা হয়ে যাচ্ছে।

২.৫০: তৃণমূলের কর্মীরাই আসল নেতা। যাঁরা বুথে বুথে ভোটার লিস্টের কাজ করেন, গণনার কাজ করেন, তাঁরাই আসল নেতা। আর যাঁরা মনে করছেন, বিজেপিতে যাবেন, চলে যান। আমার কিছু আসে-যায় না। কারণ দুর্নীতি যাঁরা করে, তাঁদের দলে রেখে লাভ নেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন