বাহিনীর কাজে খুশি নন, বুঝিয়ে দিলেন কমিশনার

পুলিশ সূত্রের খবর, শুক্রবার বডিগার্ড লাইন্সে কলকাতা পুলিশের মাসিক ক্রাইম বৈঠকে পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা জানতে চান, শহরে মাদক ও চোলাই মদ বিক্রির ঘটনায় ক’টা এফআইআর দায়ের হয়েছে?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০১৯ ০১:১৬
Share:

কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। ফাইল চিত্র

অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েক জন মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের মাদক-বিরোধী শাখা। আবার বেআইনি মদ বিক্রি ও পাচারের অভিযোগে কলকাতা পুলিশের বিভিন্ন থানায় রুজু করা হয়েছে আটটি মামলা। বাজেয়াপ্ত হয়েছে কয়েকশো লিটার বেআইনি মদ। কিন্তু ফেব্রুয়ারি মাসে থানা ও গোয়েন্দা বিভাগের এই কাজে খুশি নন পুলিশ কমিশনার।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, শুক্রবার বডিগার্ড লাইন্সে কলকাতা পুলিশের মাসিক ক্রাইম বৈঠকে পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা জানতে চান, শহরে মাদক ও চোলাই মদ বিক্রির ঘটনায় ক’টা এফআইআর দায়ের হয়েছে? মামলার সংখ্যা শোনার পরেই তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, থানাগুলিকে মাদক ও বেআইনি মদের বিরুদ্ধে আরও বেশি করে অভিযান চালাতে হবে। দায়ের হওয়া মামলার সংখ্যা এত কম কেন, তা-ও জানতে চান সিপি। যদিও সন্তোষজনক কোনও উত্তর তিনি পাননি। এর পরেই যত্রতত্র মদ ও মাদক বিক্রির মোকাবিলায় গোয়েন্দা বাহিনীর সঙ্গে সব থানাকে আরও সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দেন কমিশনার।

কলকাতায় মাদকের রমরমা অবশ্য নতুন নয়। গত কয়েক বছরে নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো অভিযান চালিয়ে বহু মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে। পিছিয়ে নেই কলকাতা পুলিশের মাদক-বিরোধী শাখাও। শহরের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের পড়ুয়াদেও মধ্যে মাদক ব্যবহারের প্রবণতা কমাতে গত মাসেই পরপর গ্রেফতার করা হয়েছে বেশ কয়েক জন মাদক পাচারকারীকে। পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, মাদক নিয়ে লাগাতার তল্লাশি চলছে। একটি মামলা দায়ের করার পরে সেই সূত্রেই একাধিক পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়। ফলে মামলার সংখ্যা কম হলেও ধৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকে। তবে পুলিশের একাংশের অনুমান, কমিশনার বড় মাদক পাচারকারীদের পাশাপাশি পাড়ায় পাড়ায় ছোট মাদক বিক্রেতাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

শহরতলির বিভিন্ন জায়গায় বেআইনি মদ বিক্রি নতুন নয়। তাই পুলিশ কমিশনার সেই সমস্ত এলাকাতেও বেশি করে অভিযান চালাতে বলেছেন থানাগুলিকে। যার জেরে ভোটের আগে নড়চড়ে বসেছে পুলিশ।

শুক্রবারের ওই ক্রাইম বৈঠকে কমিশনার স্পষ্টই বুঝিয়ে দিয়েছেন, বাহিনীর কাজে সন্তুষ্ট নন তিনি। পুলিশের একটি অংশের দাবি, কমিশনার বিভিন্ন থানার ওসি-দের কাজে খুশি নন বলেই তাঁদের সর্তক করে দিয়েছেন। পুলিশ সূত্রের খবর, সিপি-র ওই বৈঠকের পরে শনিবার সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন থানার ওসি-রা নিজেদের এলাকায় অপরাধ দমনে বিশেষ ভাবে তৎপর হয়ে উঠেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন