মৃত তরুণী রণিতা বৈদ্য। ছবি: সংগৃহীত।
স্কুটার চালানো শিখতে সোমবার বাড়ি থেকে বার হয়েছিলেন রণিতা বৈদ্য। তার পর থেকেই আর খোঁজ মেলেনি রণিতা এবং তাঁর প্রশিক্ষক রোহিত আগরওয়ালের। এক দিন পরে মঙ্গলবার দুপুরে আনন্দপুরেরই নোনাডাঙা খাল থেকে উদ্ধার হয় ওই তরুণ এবং তরুণীর দেহ। ঠিক কী হয়েছিল সোমবার? কী ভাবে খালে এল দু’জনের দেহ? তদন্তে নেমে স্থানীয় একটি দোকানে বসানো সিসি ক্যামেরার ফুটেজ হাতে পেয়েছে পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানও পেয়েছে তারা। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, খালের দিকে ছুটছিলেন তরুণী। পিছনে দৌড়োচ্ছিলেন যুবকও। দু’জনেই কি ঝাঁপ দিয়েছিলেন খালে? প্রত্যক্ষদর্শীরা তেমনই দাবি করেছেন।
২৩ বছরের রণিতা এবং ১৯ বছরের রোহিত, দু’জনেরই বাড়ি উত্তর পঞ্চান্নগ্রামে। রণিতার পরিবার জানিয়েছে, পাঁচ মাস আগে স্কুটার কিনেছিলেন রণিতা। রোহিতের কাছে সেই স্কুটার চালানো শিখতেন তিনি। রোহিত তাঁর বন্ধু। সোমবারও সেই স্কুটার চালানো শিখতে গিয়েই নিখোঁজ হয়ে যান তিনি।
সোমবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ আনন্দপুর থানায় একটি ফোন আসে। অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি পুলিশকে জানান, নোনাডাঙা সেতু থেকে এক তরুণ এবং এক তরুণী নোনাডাঙা খালে ঝাঁপ দিয়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। সেখানে পৌঁছোলে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, স্কুটারে সওয়ার এক তরুণ এবং তরুণী পরস্পরের সঙ্গে ঝগড়া করছিলেন। এর পরে তরুণী স্কুটার থেকে নেমে খালের দিকে ছুটে যান। তখন তরুণও খালের পাড়ে স্কুটার রেখে তরুণীর পিছনে যান। কিছু ক্ষণ পরে ওই প্রত্যক্ষদর্শী খালে কারও ঝাঁপ দেওয়ার শব্দ শুনতে পান।
এর পরেই স্থানীয় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখতে শুরু করে পুলিশ। স্থানীয় একটি মদের দোকানে বসানো সিসি ক্যামেরার ফুটেজে পুলিশ দেখে, ওই তরুণ এবং তরুণী খালের দিকে ছুটে যাচ্ছেন। যেমনটা জানিয়েছিলেন প্রত্যক্ষদর্শী। তিনি এ-ও দাবি করেন যে, খালের ধারে পরস্পরের সঙ্গে ঝগড়া করছিলেন ওই তরুণ এবং তরুণী। সেই ঝগড়ার জেরেই কি দু’জনে ঝাঁপ দিয়েছেন খালে? ঝগড়ার কারণই বা কী? এ সবই এখন পুলিশের নজরে।