মঙ্গলাহাট

মমতার নির্দেশে বেআইনি নির্মাণ ভাঙা শুরু আজ

হাওড়ার মঙ্গলাহাটের বেআইনি নির্মাণ নিয়ে অবহিত ছিল পুরসভা। হাটের ভিতরে বেআইনি নির্মাণের অংশ চিহ্নিতও করে ছিলেন পুর-কর্তারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০১৬ ০০:৪৮
Share:

হাওড়ার মঙ্গলাহাটের বেআইনি নির্মাণ নিয়ে অবহিত ছিল পুরসভা। হাটের ভিতরে বেআইনি নির্মাণের অংশ চিহ্নিতও করে ছিলেন পুর-কর্তারা। কিন্তু তা ভাঙার কাজ শুরু হয়নি। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ পেয়ে তড়িঘড়ি সেই কাজে হাত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল হাওড়া পুরসভা। আজ, বৃহস্পতিবার হাটের বেআইনি নির্মাণ ভাঙার কাজ শুরু করবে পুরসভা।

Advertisement

গত ২২ জুন হাওড়ার প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিতে এসে প্রথমেই মঙ্গলাহাটের বেহাল দশা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই বৈঠকেই তিনি হাওড়া পুরসভার মেয়র রথীন চক্রবর্তীকে মঙ্গলাহাট সাজিয়ে তোলার দায়িত্ব দেন। সেই মতো রথীনবাবু পুর ও জেলা প্রশাসনের কর্তাদের নিয়ে একটি কমিটি তৈরি করেন। ওই কমিটির সঙ্গে বৈঠক করে তিনি সিদ্ধান্ত নেন, কী ভাবে ওই হাটের উন্নয়ন করা হবে।

পুরসভা সূত্রের খবর, ওই বৈঠকের পরেই পুর-ইঞ্জিনিয়ারেরা মঙ্গলাহাট পরিদর্শন করেন। সেখানে বেশ কিছু বেআইনি নির্মাণ চিহ্নিত করেন তাঁরা। ইঞ্জিনিয়ারদের মতে, ওই বেআইনি নির্মাণগুলির স্থায়িত্ব নিয়েও সংশয় রয়েছে। যে কোনও সময় সেগুলি ভেঙে পড়ে বহু প্রাণহানি ঘটার আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানান পুর-কর্তারা। কিন্তু এই রিপোর্ট আসার পরেও ১ নম্বর কার্তিকচন্দ্র দে রোডের ‘হাওড়া দা মঙ্গলা হাট’-এর বেআইনি নির্মাণ ভাঙার কাজ শুরু করেনি পুরসভা। যদিও রথীনবাবু বলেন, ‘‘বিষয়টি প্রশাসনের উচ্চ মহলে জানানো হয়েছিল। শীর্ষ মহল থেকে নির্দেশ আসার পরেই আর দেরি না করে ভাঙার কাজ শুরু হচ্ছে।’’ তিনি জানান, বেআইনি নির্মাণ ভাঙার পরে কী ভাবে হাটটি সাজানো যায় তা নিয়েও পরিকল্পনা করা হবে।

Advertisement

মঙ্গলহাটে বেআইনি নির্মাণের প্রতিবাদে ১ অগস্ট মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি দেন মঙ্গলাহাট বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শেখ মহম্মদ নিজামউদ্দিন। তাঁর অভিযোগ, সাড়ে ৮ বিঘা জমির উপর থাকা ওই হাটের বেশ কিছু অংশে অনেকে বেআইনি নির্মাণ করছেন। হাওড়া থানা কিছুটা দূরে হলেও, কখনও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমনকী অভিযোগ জানানোর পরে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি পুরসভার তরফেও। হাওড়া পুরসভার কমিশনার নীলাঞ্জন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘হাটের ভিতরে সব বেআইনি অংশই ভেঙে ফেলা হবে। বেআইনি নির্মাণের জন্য অন্যের ক্ষতি বরদাস্ত করা হবে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন