সন্তানকে নিয়ে স্ত্রী আত্মঘাতী, ‘প্ররোচনায়’ ধৃত স্বামী

বৃহস্পতিবার শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখার বিশরপাড়া-কোদালিয়া স্টেশনে ট্রেন ঢোকার সময়ে ছেলে অরণ্যকে নিয়ে লাইনে ঝাঁপ দেন গুরুদাস কলেজের অঙ্কের শিক্ষিকা বর্ষা বিশ্বাস।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০১৯ ০১:৩৯
Share:

ছেলে অরণ্যের সঙ্গে বর্ষা বিশ্বাস।

চার দিন আগে চার বছরের ছেলেকে নিয়ে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন এক কলেজশিক্ষিকা। ঘটনার পরে তাঁর স্বামী পিনাকী রায়কে সোমবার গ্রেফতার করেছে বিমানবন্দর থানার পুলিশ। পিনাকীবাবু ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক। তাঁর বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলা রুজু করা হয়েছে বলে এ দিন জানিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

বৃহস্পতিবার শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখার বিশরপাড়া-কোদালিয়া স্টেশনে ট্রেন ঢোকার সময়ে ছেলে অরণ্যকে নিয়ে লাইনে ঝাঁপ দেন গুরুদাস কলেজের অঙ্কের শিক্ষিকা বর্ষা বিশ্বাস। সেই ঘটনা ঘিরে বিমানবন্দর থানা এলাকার বিশরপাড়ার ভিতরে নীলাচলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পারিবারিক অশান্তির জেরেই এই ঘটনা বলে অভিযোগ করেন মৃতার বাপের বাড়ির লোকজন। পরে রবিবার পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন তাঁরা। পিনাকী ছাড়াও বর্ষার শ্বশুর, শাশুড়ি, দিদি ও জামাইবাবুর বিরুদ্ধেও নির্যাতন ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা।

অভিযোগে বলা হয়েছে, পড়াশোনা নিয়েই থাকতে ভালবাসতেন বর্ষা। ২০১২ সালে বিয়ের কিছু দিন পর থেকেই লেখাপড়া করা নিয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজন অত্যাচার শুরু করেন। মারধরও করা হত বর্ষাকে। বিয়ের কিছু দিন পরে তিনি বাপের বাড়ি চলেও আসেন। ফের তাঁকে বুঝিয়ে বাড়ি নিয়ে চলে যান পিনাকী। অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, ছেলে হওয়ার পরেও সেই অত্যাচার চলতে থাকে। বাধ্য হয়ে ছেলেকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে এসেছিলেন বর্ষা। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁকে নানা ভাবে অপমান করা হত। সে সব সহ্য করতে না পেরেই বর্ষা আত্মঘাতী হয়েছেন বলে অভিযোগ তাঁর বাপের বাড়ির লোকজনের। ।

Advertisement

এ দিন বর্ষার বাবা মানবেন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘‘আমাদের কাছে থেকে পিএইচডির প্রস্ততি নিচ্ছিল বর্ষা। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির লোকেরা ওর সঙ্গে অশান্তি করেই যাচ্ছিল। তা সহ্য করতে না পেরেই মেয়ে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। জামাই ছাড়াও আমরা বাকি চার জনেরও শাস্তি চাই।’’ পুলিশ জানিয়েছে, ওই ঘটনায় অভিযুক্ত বাকি চার জনের কী ভূমিকা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন