স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে ধৃত

বধূ-নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন স্বামী। সোমবার লেকটাউনে এই ঘটনায় আর এক অভিযুক্ত, ওই বধূর দেওর পলাতক। নির্যাতিতা ওই তরুণী আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। লেকটাউন থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিনই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন জ্যোতি অগ্রবাল নামে ওই নির্যাতিতা গৃহবধূর বোন ইন্দিরা অগ্রবাল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৪ ০১:৩১
Share:

বধূ-নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন স্বামী। সোমবার লেকটাউনে এই ঘটনায় আর এক অভিযুক্ত, ওই বধূর দেওর পলাতক। নির্যাতিতা ওই তরুণী আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি।

Advertisement

লেকটাউন থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিনই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন জ্যোতি অগ্রবাল নামে ওই নির্যাতিতা গৃহবধূর বোন ইন্দিরা অগ্রবাল। তাতে তিনি জানিয়েছেন, বিয়ের পর থেকেই শাশুড়ি শান্তাদেবী ও দেওর শশী টাকার দাবিতে জ্যোতির উপরে অত্যাচার চালাতেন। অভিযোগ, সোমবার সকালেও এ নিয়ে অশান্তি চলার সময়ে জ্যোতিকে মারধর করে তাঁর মুখে জোর করে ফিনাইল ঢেলে দেন তাঁরা। আরও অভিযোগ উঠেছে, ওই গৃহবধূর স্বামী রবি অগ্রবাল সেখানে উপস্থিত থাকলেও ঘটনার সময়ে তিনি নীরব ছিলেন।

এ দিন বিকেলে রবিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দেওর শশী অগ্রবালকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তাঁকে খুঁজছে পুলিশ। অপর অভিযুক্ত, জ্যোতির শাশুড়ি শান্তাদেবী বাড়িতে থাকলেও একটি দুর্ঘটনায় আহত বলে তাঁকে বাড়িতেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

সোমবার বিকেলে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে শুয়ে ওই গৃহবধূ বলেন, “ওরা সব সময় টাকা নিয়ে আসার জন্য চাপ দিত। এই নিয়ে সোমবার সকালেও আমাকে বেধড়ক মারা হয়।” তাঁর দাবি, “মারধর করার পরে শাশুড়ি বাথরুম থেকে ফিনাইলের বোতল নিয়ে এসে জোর করে আমার মুখের মধ্যে ঢেলে দেন। পুরো বিষয়টিতেই আমার বর নীরব ছিলেন।”

যদিও ওই বধূর শাশুড়ি শান্তাদেবী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “মারধরের অভিযোগ ঠিক নয়। ও আমার ছেলেকে সব সময়ে কাজ নিয়ে গঞ্জনা দিত। ঝগড়া করত। আজ নিজেই আমাদের সবার সঙ্গে ঝগড়া করে গলায় ফিনাইল ঢেলেছে।”

জ্যোতির বাবা বাবুলাল অগ্রবাল পিকনিক গার্ডেনের বাসিন্দা। তাঁর একটি ওষুধের দোকান রয়েছে। বাবুলাল বলেন, “বিয়ের পর থেকেই ওরা আমার মেয়েকে মারধর করত। এ বছর মে মাসে লেকটাউন থানায় অভিযোগ করেছিলাম। তখন দু’বাড়ির লোককে থানায় ডেকে মিটমাট করিয়েছিল পুলিশ।”

বিধাননগর কমিশনারেটের এডিসিপি দেবাশিস ধর বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। এক জন গ্রেফতারও হয়েছে। দু’পক্ষের বক্তব্যই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন