—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
এসএসকেএম হাসপাতালে মহিলাদের ওয়ার্ডে ঢুকে পড়লেন এক বহিরাগত যুবক। নার্সদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। পরে ভবানীপুর থানার পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। এই ঘটনায় এসএসকেএম হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ফের প্রশ্নের মুখে। কী ভাবে এত নিরাপত্তারক্ষী থাকা সত্ত্বেও অসময়ে ওই যুবক মহিলাদের ওয়ার্ডে ঢুকে পড়লেন, প্রশ্ন উঠেছে।
ঘটনাটি বৃহস্পতিবারের। অভিযোগ, নিরাপত্তারক্ষীদের নজর এড়িয়ে এসএসকেএম-এর মেন ব্লকের মহিলাদের ওয়ার্ডে ঢুকে পড়েন যুবক। তাঁর নাম অম্বর রায়চৌধুরী। তাঁর এক আত্মীয় ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। যুবক তাঁর সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করছিলেন। আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় যুবককে প্রশ্ন করেন মহিলাদের ওয়ার্ডে কর্তব্যরত নার্সেরা। অভিযোগ, প্রথমে যুবক হাসপাতালের কর্মী হিসাবে নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন। পরে নার্সদের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন। অভিযোগ, দুর্ব্যবহার করেন সকলের সঙ্গেই। এতে মহিলাদের ওয়ার্ডে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।
হাসপাতালের পুলিশ আউটপোস্টে খবর দেওয়া হলে ঘটনাস্থলে আসেন পুলিশকর্মীরা। প্রাথমিক ভাবে অভিযুক্তকে আটক করে তারা সেখান থেকে নিয়ে গিয়েছিল। সূত্রের খবর, অভিযুক্ত দাবি করেছেন, তিনি কলকাতা পুরসভার কর্মী। এমনকি, তাঁর কাছ থেকে পুরসভার একটি পরিচয়পত্রও (আইডি কার্ড) উদ্ধার করা হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে ভবানীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগপত্র অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার অনিমা রায়চৌধুরী নামের এক রোগীর আত্মীয় নিজের পুরসভার পরিচয়পত্র দেখিয়ে হাসপাতালের মহিলাদের ওয়ার্ডে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। রোগীর সঙ্গে দেখা করার নির্ধারিত সময় তখন পেরিয়ে গিয়েছিল। আটকানো হলে তিনি নার্সদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। হুমকিও দেন।
কিছু দিন আগে এসএসকেএম হাসপাতালে এক কিশোরীকে ধর্ষণ এবং যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ, বহির্বিভাগে চিকিৎসার জন্য আসা ওই কিশোরীকে ভুলিয়ে ট্রমা কেয়ারের পিছন দিকের শৌচালয়ে নিয়ে যান এক যুবক। তিনি হাসপাতালের চিকিৎসকের পোশাক পরেছিলেন। শৌচালয়ে কিশোরীকে যৌন হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। তার চিৎকারে লোকজন জড়ো হয়ে গেলে অভিযুক্ত ধরা পড়ে যান। পকসো আইনে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে এ বার ফের এসএসকেএমের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠল।