Death

Murder: ঘরে ঢুকে মাথায় হাতুড়ি মেরে, গলা কেটে খুন রাজমিস্ত্রিকে

পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তি আদতে ঝাড়খণ্ডের গিরিডির বাসিন্দা। কর্মসূত্রে আরও দুই রাজমিস্ত্রির সঙ্গে ওই বাড়িতে চার বছর ধরে ভাড়া থাকছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০২২ ০৫:২৫
Share:

বাবলু সিংহ।

ঘরের ভিতরে নৃশংস ভাবে খুন হলেন এক ব্যক্তি। রবিবারসাতসকালে হাওড়ার আরআর বেলিলিয়াস লেনের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার দোতলা বাড়ির পিছনের ঘর থেকে ওই ব্যক্তির রক্তাক্ত দেহউদ্ধার হয়। মৃতের নাম বাবলু সিংহ (৪৫)। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার গভীররাতে বা ভোরে বাবলুকে কেউ বা কারা মাথায় হাতুড়ি দিয়ে বার বার আঘাত করে এবং অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে খুন করেছে। বাড়িরমালিককে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি ওই বাড়ি ও আশপাশে লাগানো সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তদন্তশুরু হয়েছে। খবর দেওয়া হয়েছে মৃতের বাড়িতে।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তি আদতে ঝাড়খণ্ডের গিরিডির বাসিন্দা। কর্মসূত্রে আরও দুই রাজমিস্ত্রির সঙ্গে ওই বাড়িতে চার বছর ধরে ভাড়া থাকছিলেন। তদন্তে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে বাড়ির উঠোন ও গলি ঝাঁট দিতেন বাবলু। এ দিন সকাল সাড়ে ৭টা বেজে গেলেও তিনি না ওঠায় ওই বাড়ির লোকজন গিয়ে দেখেন, দরজা খোলা। ঘরের বিছানায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে বাবলু। মাথার একাধিক জায়গায় গভীর ক্ষত। গলায় অস্ত্রের কোপ। গোটা বিছানা ও মেঝেয় রক্ত পড়ে। দরজাতেও রক্তের ছিটে লেগে। রক্তমাখা হাতুড়ি পড়ে রয়েছে বিছানার পাশে। এর পরেই ওই বাড়ির মালিক কাঞ্চন দাস পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে হাওড়া সিটি পুলিশের পদস্থ কর্তারা তদন্ত শুরু করেন।

এ দিন ওই বাড়ির সামনে গিয়ে দেখা গেল প্রতিবেশীদের জটলা। সেখানে দাঁড়িয়েই কাঞ্চনবাবু জানান, বছর চারেক আগে তিনি ছোটু সিংহ নামে এক রাজমিস্ত্রিকে বাড়ির পিছনের একটা ঘরে থাকতে দেন। তখন ছোটুর সঙ্গে বাবলুও ছিলেন। পরে ছোটু কালীবাবুরবাজার এলাকার একটি বাড়িতে উঠে যাওয়ায় বাবলু আরও দুই রাজমিস্ত্রির সঙ্গে ওই বাড়িতে থাকতেন। সপ্তাহখানেক আগে বাবলু ও দুই সঙ্গী দেশের বাড়ি চলে যান। গত ১৫ তারিখ একাই ফিরে আসেন বাবলু। এ ক’দিন একাই থাকছিলেন।

Advertisement

বাড়ির পিছনের দিকে যে ঘরে ভাড়া থাকতেন বাবলু, তার সামনে রয়েছে তিন ফুটের একটি পাঁচিল। পাঁচিলের অন্য দিকে নির্মীয়মাণ বহুতল রয়েছে। বহুতলের দরজা-জানলা নেই। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ভোরে নির্মীয়মাণ বহুতলের ভিতর দিয়ে পাঁচিল টপকে এসে বাবলুর ঘরে ঢুকে তাঁকে খুন করে কেউ বা কারা চম্পট দিয়েছে। পুলিশের আরও অনুমান, পরিচিত কেউ এই কাজ করেছে। তাই বাবলু খুনি বা খুনিদের ঘরে ঢুকতেও দিয়েছিল।

হাওড়া সিটি পুলিশের এক অফিসার বলেন, ‘‘ইতিমধ্যে আমরা কিছু সূত্র পেয়েছি। সেই সূত্রে ধরেই তদন্ত হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, এই খুনের পিছনে পারিবারিক বিবাদ নেই। অন্য কোনও কারণ রয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন