বাড়ির ভিতর এখনও জ্বলছে আগুন। নিজস্ব চিত্র।
রাতভর জ্বলেছে। এখনও জ্বলছে ৩ নম্বর আমড়াতলা লেনের বহুতল বাড়িটা। আগুন লাগার পরে ১২ ঘণ্টার বেশি সময় কেটে গেলেও এখনও তা নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আর আগুনের সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বাড়িটি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা। মঙ্গলবার দুপুর গড়িয়ে গেলেও আগুন নেভার কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি।
ঘটনাস্থলে এখনও দমকলের ১৬টি ইঞ্জিন রয়েছে। আগুন নেভাতে দমকলকর্মীদের পাশাপাশি হাত লাগিয়েছেন স্থানীয়েরাও। রাতভর আগুনের লেলিহান শিখা দেখা গিয়েছে। আর সকাল থেকে সেই আগুনের সঙ্গে জুড়েছে কালো ধোঁয়া।
ইতিমধ্যেই ভেঙে পড়েছে তিনতলার ছাদ ও কাঠের সিঁড়ি। পাশের বাড়ি থেকে জল দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা চলছে। তবে দমকলকর্মীরা জানাচ্ছেন, পরিস্থিতি আগের থেকে অনেক ভাল। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আগুন নেভাতে প্রচণ্ড সমস্যা হচ্ছে। আগুনে আহত হয়েছেন কয়েক জন দমকলকর্মী। তবে আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: বড়বাজারে বড় আগুন, জ্বলন্ত বাড়ি ঘিরে আতঙ্ক
বিধ্বংসী এই আগুনের জেরে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে শহরের বেশ কিছু রাস্তায়৷ এর ফলে অফিস টাইমে যানজট তৈরি হয়েছে। সোমবার রাতে মহাত্মা গাঁধী রোড দিয়ে হাওড়ার দিকে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এ দিন সকালে এই রাস্তাটি খুলে দিলেও বন্ধ রাখা হয়েছে রবীন্দ্র সরণি। পোদ্দার কোর্ট সংলগ্ন রবীন্দ্র সরণির একাংশ ও ক্যানিং স্ট্রিটে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।
পাশের বাড়িগুলি থেকে আবাসিকদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। নিজস্ব চিত্র।
গত রাতে আগুন লাগে বড়বাজার থানার ঠিক পিছনে তিন নম্বর আমড়াতলা লেনের ওই বাড়িতে৷ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ৩৫টি ইঞ্জিন৷ সরু ঘিঞ্জি গলি হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ বেগ পেতে হয় দমকলকর্মীদের৷ বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বহুতলটিতে একাধিক গুদাম রয়েছে৷ তার ফলে আগুন হু হু করে ছড়িয়ে পড়ে৷