এক সপ্তাহে কেব্‌লের জট সরাতে নির্দেশ

ফিরহাদ জানান, এক দিকে শহরের সৌন্দর্যায়ন নিয়ে যখন সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, সেখানে রাস্তার পাশে ঝুলে থাকা কালো কালো তারের জালে ছেয়ে গিয়েছে শহর। যা শুধু দৃশ্যদূষণ নয়, বিপজ্জনকও বটে। ফিরহাদ বলেন, ‘‘শহর সুন্দর রাখা একটা সামাজিক দায়িত্ব। সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এর পরে কেউ তা না মানলে পুরসভার লোকজন গিয়ে কেব্‌ল কেটে দেবে।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০১৯ ০২:৪৭
Share:

শহরের রাস্তায় তারের কুণ্ডলী। ফাইল চিত্র

আগামী ৭ দিনের মধ্যে কলকাতার রাস্তায় অব্যবহৃত তারের কুণ্ডলী খুলে ফেলতে হবে। বৃহস্পতিবার কেব্‌ল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক অ্যাডভাইসরি কমিটির বৈঠকে কেব্‌ল অপারেটরদের তেমনই নির্দেশ দিলেন রাজ্যের নগরোন্নয়নমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বৈঠকে হাজির ছিলেন ওই কমিটির দুই সদস্য রাজ্যের দুই মন্ত্রী মলয় ঘটক এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।

Advertisement

ফিরহাদ জানান, এক দিকে শহরের সৌন্দর্যায়ন নিয়ে যখন সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, সেখানে রাস্তার পাশে ঝুলে থাকা কালো কালো তারের জালে ছেয়ে গিয়েছে শহর। যা শুধু দৃশ্যদূষণ নয়, বিপজ্জনকও বটে। ফিরহাদ বলেন, ‘‘শহর সুন্দর রাখা একটা সামাজিক দায়িত্ব। সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এর পরে কেউ তা না মানলে পুরসভার লোকজন গিয়ে কেব্‌ল কেটে দেবে।’’

মাস কয়েক আগে কেব্‌ল অপারেটরদের নিয়ে এক বার বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোরপাধ্যায়। তখনই সিদ্ধান্ত হয়, রাস্তার উপরে তারের কুণ্ডলী থাকবে না। কেব্‌ল থেকে শুরু করে টেলিকম সংস্থা— সবাইকেই তার মাটির নীচে দিয়ে নিয়ে যেতে হবে। পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে কলকাতার আলিপুর রোড, হরিশ মুখার্জি রোড এবং পার্ক স্ট্রিটকে বেছে নেওয়া হবে। কেব্‌ল অপারেটর, ব্রডব্যান্ড সংস্থাগুলোকে বলা হয় তাদের অব্যবহৃত যে সব তার রাস্তার উপরে ঝুলছে, তা সরিয়ে ফেলতে। আর যে সব তারে সংযোগ রয়েছে তা মাটির নীচে আলাদা চ্যানেল করে পাঠাতে। কিন্তু সেই কাজে তেমন সাড়া না মেলায় এ দিন ফের মেয়র ফিরহাদ ওই সব সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেন। ফিরহাদ জানান, অব্যবহৃত তার চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে সংস্থাগুলোকে। সেই কাজ ৭ দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে। তার পরেই ওই তার কাটা শুরু করে দেবে পুরসভার আলো দফতর। আলিপুর রোড থেকে সেই কাজ শুরু করা হচ্ছে বলে জানান মেয়র।

Advertisement

একই সঙ্গে এ দিন শহরের কেবল টিভির মাসিক ভাড়া এবং দৃশ্যমানতা নিয়েও অপারেটারদের কাছে কিছু অভিযোগের কথা তুলে ধরেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা।

কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরেও কেন তারের জঙ্গল সাফ করল না কেব্‌ল সংস্থাগুলি? সিটি কেব্‌ল সংস্থার পক্ষে তিনকড়ি দত্ত এবং কেব্‌ল টিভি কনসর্টিয়ামের পক্ষে তাপস দাসের দাবি, সম্পূর্ণ বিষয়টি তাঁদের উপরে নির্ভর করছে না। বহু ব্রডব্যান্ড সংস্থা রয়েছে যাদের অকেজো তার ওই ভাবে পড়ে রয়েছে। তারাও গুরুত্ব দেয়নি। তিনকড়িবাবু ও তাপসবাবুর বক্তব্য, ‘‘এ দিন নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে আমরা রাস্তায় পড়ে থাকা অকেজো তার চিহ্নিতকরণের কাজ করব।’’ এ দিন ব্রডব্যান্ড সংস্থাগুলিকেও ডাকা হয় মেয়রের বৈঠকে। তবে তারা কেউ আসেনি বলে পুরসভা সূত্রে খবর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement