‘না পারলে ছেড়ে দিন’, কাজে দেরি হওয়ায় ক্ষুব্ধ মেয়র

বুধবার ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে ওই এলাকার বাসিন্দা দুলাল মল্লিক এ নিয়ে অভিযোগ করতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ফিরহাদ। কেন কাজ হল না, তা জানতে চেয়ে ভর্ৎসনা করেন পরিবেশ দফতরের দায়িত্বে থাকা ডিজি দেবাশিস চক্রবর্তীকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০১৯ ০৪:৩১
Share:

ফিরহাদ হাকিম। —ফাইল চিত্র

বাসিন্দাদের আবেদনে সাড়া দিয়ে তাঁদের এলাকার জলাশয়টি দেখতে গিয়েছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। গত অগস্টে, বেহালার ইস্ট বড়িশা সরকারি কলোনিতে। মেয়র দেখেছিলেন, আবর্জনা পড়ে পুকুর প্রায় ভরাট হয়ে গিয়েছে। জন্মাচ্ছে প্রচুর মশা। আশ্বাস দিয়েছিলেন, এক মাসের মধ্যেই সেটি পরিষ্কার করা হবে। পুর ভবনে এসে সেই মতো নির্দেশও দিয়েছিলেন বিভাগীয় দফতরকে। কিন্তু তিন মাস পেরিয়ে গেলেও সেই পুকুরে হাত পড়েনি।

Advertisement

বুধবার ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে ওই এলাকার বাসিন্দা দুলাল মল্লিক এ নিয়ে অভিযোগ করতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ফিরহাদ। কেন কাজ হল না, তা জানতে চেয়ে ভর্ৎসনা করেন পরিবেশ দফতরের দায়িত্বে থাকা ডিজি দেবাশিস চক্রবর্তীকে। এ-ও বলেন, ‘‘যদি কাজ না হয়, তা হলে দফতর রেখে কী লাভ! আপনার দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের ইঞ্জিনিয়ারিং দফতরে বদলি করা হবে। আর পুকুর পরিষ্কারের কাজটা এ বার থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং দফতরই করবে।’’ অভিযোগকারীর ফোন চালু রেখেই এ সব বলতে থাকেন মেয়র। ও দিক থেকে দুলালবাবু তাঁর ফাঁকেই মেয়রকে জানান, ওই ডিজি তাঁকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, পুরসভায় ফোন করলে কাজ হবে না। তা শুনে আরও খেপে যান মেয়র। অভিযোগকারীকে বলেন, ‘‘আমি দুঃখিত। আমি ওই অফিসারদের শো-কজ করব। খুব শিগগিরই কাজ হবে। দেরি হল বলে ক্ষমা করবেন।’’ পরে ওই অফিসারকে তিনি বলেন, ‘‘কাজ করতে না পারলে ছেড়ে দিন। আমাকে কেন সময়ে জানাননি?’’ এ নিয়ে পুর কমিশনারকেও সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন মেয়র।

পুরসভা সূত্রের খবর, প্রায় প্রতিদিনই পুকুর ভরাট বা পুকুরে আবর্জনা ফেলা নিয়ে অভিযোগ আসে। ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ায় আতঙ্কও বেড়েছে। দক্ষিণ কলকাতার ৬৭, ১২১ এবং ১২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারাও এ দিন ফোন করে পুকুর নিয়ে অভিযোগ জানান। পুর কমিশনারকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন ফিরহাদ।

Advertisement

৬৭ নম্বর ওয়ার্ডে একটি বেআইনি নির্মাণ নিয়েও অভিযোগ করেন জনৈক স্বপন মণ্ডল। তাঁকে মেয়রের আশ্বাস, দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উত্তর কলকাতার রানি ব্রাঞ্চ রোডের এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘প্রতি রাতে মদ খেয়ে এক জন অশালীন আচরণ করছেন বাড়ির সামনে। পুলিশকে জানিয়েছি। কিছু হয়নি।’’ মেয়র ডিসি (নর্থ)-কে ফোন করে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন