লালবাজারে স্মারকলিপি #আমিও প্রতিবাদীদের

যাঁরা পথে নামলেন বেশির ভাগই, কলকাতার বিভিন্ন কলেজের ছাত্রী বা ছাত্র, কেউ বা সরকারি চাকরি করছেন কিংবা বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণায় ব্যস্ত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০১৭ ০১:২১
Share:

কদম কদম: প্রতিবাদ মিছিলে কলেজপড়ুয়ারা। বৃহস্পতিবার, ধর্মতলায়। নিজস্ব চিত্র

সোশ্যাল মিডিয়ায় #মি টু লিখে জনে জনে মুখ খুলে যৌন নির্যাতনের অভিজ্ঞতা নিয়ে সরব হওয়ার আন্দোলনে সংহতি জানিয়েছিল কলকাতা পুলিশও। লালবাজারের তরফেও ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বলা হয়েছিল, এই আন্দোলনের পাশে থাকতে ও নির্যাতিতদের সাহায্য করতে তাঁরা দায়বদ্ধ। এ বার নেট-পরিসরের গণ্ডি ছাড়িয়ে কলকাতার আন্দোলনকারীরা দল বেঁধে লালবাজার-অভিযানেও সামিল হলেন।

Advertisement

বৃহস্পতিবার দুপুর দু’টো নাগাদ ফেসবুকে পোস্ট দিয়েই পথে নামার ডাক দিয়েছিলেন এক ঝাঁক আন্দোলনকারী। তাঁদের দাবিগুলি ছিল— ১) প্রতিটি যৌন নির্যাতনের অভিযোগে ব্যবস্থা নিতে হবে।
২) যৌন নির্যাতন বিষয়ে সচেতনতা প্রসার অভিযান বাড়াতে হবে।
৩) প্রতিটি থানা এলাকায় যথেষ্ট সংখ্যক মহিলা পুলিশ অবশ্যই মজুত রাখতে হবে।

যাঁরা পথে নামলেন বেশির ভাগই, কলকাতার বিভিন্ন কলেজের ছাত্রী বা ছাত্র, কেউ বা সরকারি চাকরি করছেন কিংবা বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণায় ব্যস্ত। তাঁদের অনেকেই অকপটে নিজেদের জীবনে যৌন নির্যাতনের অভিজ্ঞতা নিয়ে মুখ খুলেছেন। মেয়েরা ছাড়াও কিছু ছেলেও এসেছিলেন, নিজেদের অপমানের কথা বলতে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার দুপুরে মহানগরের ফুটপাথে থেবড়ে বসেই তাঁরা ঝটপট পোস্টার লিখলেন, বাসে-ট্রেনে-পরিবারে-কর্মক্ষেত্রে যৌন হেনস্থা মানবো না’ কিংবা ‘আজাদি ফ্রম পেট্রিয়ার্কি বা আজাদি ফ্রম রেপ কালচার!’

লালবাজারে কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনারকে লেখা একটি স্মারকলিপি তাঁরা পেশ করেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন